Chakrata: জানেন কি উত্তরাখণ্ডের এই গ্রামে বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ?

চারিদিকে সবুজ ঘাস আর লাল রডোড্রেনডন ফুলের মেলা। ছবির মত সুন্দর হিমালয়ের এই গ্রাম। এখানে নেই কোনও দূষণ, নেই শহুরে কোলাহল। পাহাড়ের ওপর দাঁড়ালে নীচে দেখা যায় সবুজে মোড়া যমুনা উপত্যকা।

Chakrata: জানেন কি উত্তরাখণ্ডের এই গ্রামে বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ?
চকরাতা, উত্তরাখণ্ড
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2022 | 3:39 PM

হিমালয়ের (Himalayas) সৌন্দর্য দেখার জন্য, মানসিক শান্তি খুঁজে পাওয়ার জন্য, তীর্থ করতে যাওয়ার প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটকেরা (Tourist) ভিড় করে উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand)। এই দেবভূমিতে এমন অনেক শহর, গ্রাম ও তীর্থকেন্দ্র রয়েছে, যা যে কোনও ভ্রমণপিপাসুকে বার বার টেনে আনে এখানে। এই রাজ্যে এমন অনেক ট্রেকিং রুট রয়েছে, যা ভূ-ভারতে খুঁজে পাওয়া একটু মুশকিল। এই সব কারণে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যাও এই রাজ্যে নেহাত কম নয়। কিন্তু জানেন কি উত্তরাখণ্ডে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ…

উত্তরাখণ্ডের ছোট্ট হিল স্টেশন চকরাতা। দেরাদুন থেকে ৮৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রামটি। এখানে বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি নেই। বর্তমানে এই গ্রামটি আর্মি ক্যান্টনমেন্ট এলাকা। এর আগে এখানে ছিল ব্রিটিশ রাজ। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকালে গ্রীষ্মের সময় বহু মানুষ ভিড় করতেন এই হিল স্টেশনে। তবে এখন শুধুই ভারতীয় সৈন্যদের রাজ এখানে। এটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর একমাত্র ঐতিহ্যবাহী তিব্বতি ইউনিট যা ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের পরে একত্রিত হয়েছিল।

চারিদিকে সবুজ ঘাস আর লাল রডোড্রেনডন ফুলের মেলা। ছবির মত সুন্দর হিমালয়ের এই গ্রাম। এখানে নেই কোনও দূষণ, নেই শহুরে কোলাহল। পাহাড়ের ওপর দাঁড়ালে নীচে দেখা যায় সবুজে মোড়া যমুনা উপত্যকা। আর ওপর চোখ মেলে তাকালে দেখা যায় নীল আকাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে তুষারাবৃত পর্বত। গ্রামের জনসংখ্যাও হাতে গোনা। তবে এই গ্রামে বাস জৌনসারী বর্ণের মানুষদের। এই কারণে এই গ্রামটি জৌনসার বাওয়ার নামেও পরিচিত।

চকরাতায় রয়েছে ট্রেকিং করার সুযোগ। চকরাতা গ্রাম থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে টাইগার জলপ্রপাত, যেটি উত্তরাখণ্ডের সবচেয়ে উচ্চতম জলপ্রপাতগুলির মধ্যে একটি। এখানের সৌন্দর্য দেখার জন্য আপনাকে ট্রেক করেই যেতে হবে। এখানে পৌঁছানোর জন্য কোনও পরিবহন ব্যবস্থা নেই। খাদের ধারে রাস্তা দিয়ে ট্রেক করতে পৌঁছে যেতে পারেন টাইগার জলপ্রপাতের কাছে এবং সঞ্চয় করতে নিতে পারে এই রোমাঞ্চকর ট্রেকিংয়ের কিছু স্মৃতি।

চকরাতা থেকে ১০২ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে পাইন ও দেবদারু বনে ঘেরা আরেকটি রোমাঞ্চকর পর্যটন কেন্দ্র, যার নাম দেওবন। আপনি চাইলে এখানেও ট্রেক করতে পারেন। এখানে থেকে আপনি হিমালয়ের এক সৌন্দর্যের সাক্ষী হতে পারবেন। সামনে দাঁড়িয়ে লম্বা লম্বা পাইন গাছ। তার মাঝ দিয়ে ধরা দেবে তুষারে ঢাকা পর্বতের সারি। এমন দৃশ্য মিস করলে চলে বলুন তো?

আরও পড়ুন: ভারত-নেপাল সীমান্তে অবস্থিত এই ছোট্ট জনপদ মানস সরোবরের প্রবেশদ্বার! জানুন এই কুমায়নি গ্রামের ইতিহাস

আরও পড়ুন: হিমাচলি সংস্কৃতি, পুরাণ কাহিনি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একসঙ্গে মিশেছে হিমালয়ের যে উপত্যকায়…