Meghalaya: এখনও রয়েছে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ; গারো উপজাতির জন্য জাদুঘর ও হেরিটেজ গ্রাম স্থাপন করতে চলেছে মেঘালয় সরকার
গারো উপজাতি হচ্ছে ভারতের এমন একটি সম্প্রদায়, যেখানে এখনও বজায় রয়েছে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ। এবার মেঘালয়ের পর্যটনকে চাঙ্গা করতে এই গারো উপজাতিকে উৎসর্গ করে স্থাপিত হতে চলেছে একটি জাদুঘর।
গারো, খাসি ও জয়ন্তীয়া পাহাড় নিয়ে তৈরি মেঘালয়। রাজ্যের অঞ্চল অনুযায়ী রয়েছে উপজাতিদের বাস। যেমন গারো পাহাড়ের কোলে বাস গারো উপজাতিদের। গারো উপজাতি হচ্ছে ভারতের এমন একটি সম্প্রদায়, যেখানে এখনও বজায় রয়েছে মাতৃতান্ত্রিক সমাজ। এবার মেঘালয়ের পর্যটনকে চাঙ্গা করতে এই গারো উপজাতিকে উৎসর্গ করে স্থাপিত হতে চলেছে একটি জাদুঘর। মেঘালয় সরকারের তরফ থেকে পশ্চিম গারোর পাহাড়ের কোলে গারো হেরিটেজ ভিলেজ স্থাপনের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। মেঘালয় সরকার ১০ কোটি টাকা ব্যয় করতে চলেছে এই প্রকল্পে।
কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে মেঘালয়ের পর্যটন শিল্পকে উন্নত করতে। এর জন্য গারো হেরিটেজ ভিলেজে বেশ কয়েকটি পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিম গারো পাহাড়ের জেলার তুরার চিব্রাগ্রে অঞ্চলে গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে পর্যটকদের সামনে তুলে ধরার জন্য একটি জাদুঘরও স্থাপন করা হবে।
গারো উপজাতি দ্বারা প্রতি বছর পালিত হয় বিখ্যাত ‘ওয়ানগালা হানড্রেড ড্রামস ফেস্টিভ্যাল’। এই উৎসবের সমাপনী দিনে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা এই হেরিটেজ ও মিউজিয়াম প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। তিনি ট্যুইট করে জানান যে, “সরকার গারোদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচার ও সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই উদ্দেশ্য নিয়ে, সরকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা সহ ওয়ানগালা আদমে একটি গারো হেরিটেজ গ্রাম গড়ে তোলার জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।”
Govt is committed to promote & preserve the rich culture & traditions of the Garos. With this objective, Govt has earmarked ₹10 Cr to develop a Garo Heritage Village at Wangala A’dam with various infrastructure facilities and amenities.@PMOIndia @kishanreddybjp pic.twitter.com/YInTgIIkNp
— Conrad Sangma (@SangmaConrad) November 13, 2021
এর পাশাপাশি তিনি টুইটারে একটি ছোট ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন এবং লিখেছেন, “আজ উৎসবের এই ছোট ভিডিয়োতে গারো পাহাড়ের শব্দ এবং রঙ উপস্থাপন করতে পেরে আনন্দিত।” তিনি উৎসব আয়োজনের জন্য শত ড্রামস ওয়ানগালা ফেস্টিভ্যাল কমিটিকে ২০ লাখ টাকার চেকও প্রদান করেন।
এই ওয়ানগালা উৎসব হল নবান্ন উৎসব। তিনব্যাপী এই উৎসবে গারোদের শস্যদেবতা মিশি সালজং- এর পুজো করা হয়। নতুন ফসল উঠলে তা প্রথমে মিশি সালজংকে উৎসর্গ করা হয় এবং তাঁর থেকে ওই ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে এই উৎসব পালন করা হয়। তিনব্যাপী এই উৎসবে গারোরা নিজেদের ভাষায় গান, নাচ ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে।
আরও পড়ুন: মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ; দর্শনার্থীদের জন্য পুনরায় খুলতে চলেছে সবরীমালা মন্দির
আরও পড়ুন: ঘুরে আসুন ভারতের ‘মিনি অ্যামাজন’ থেকে! পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল ওড়িশার ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যান