শতবর্ষ পার, তবু বজায় অস্ত্রের ধার এই দোকানে

বঁটি কী কাজে লাগে মাছে-ভাতে বাঙালিকে আর নতুন করে বলতে হবে না। তবে এখানকার বঁটির বেশ সুখ্যাতি আছে। বিশ্বকর্মা ভাণ্ডারের একটা বঁটির ধার বজায় থাকে প্রায় ৮-৯ বছর।

| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2021 | 6:47 AM
গনেশ টকির কাছে রবীন্দ্র সরণির বিশ্বকর্মা ভাণ্ডার অ্যান্ড কোং। একটা শতাব্দী ধরে বাঙলির অস্ত্রশস্ত্রের যোগান দিয়ে আসছে। ছুরি, বঁটি, দা, কাটারি থেকে সেফস নাইফ, বুচার্স নাইফ বা স্নিফিং নাইফ থেকে রঙ মেশানোর ছুরি... কি নেই এখানে! আছে পুজোয় ব্যবহারের জন্য খড়গও। কৃষি, গৃহস্থলি, রান্নাবান্না থেকে কারিগরি যন্ত্রপাতি নিয়ে এক বিশাল অস্ত্রের সম্ভার। ১৯০৯-এ হরিপদ মুখোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন এই  বিশ্বকর্মা ভাণ্ডার। তারপর চার প্রজন্ম ধরে শানিত ক্ষুরধার তাঁদের ট্র্যাক রেকর্ড। দেখে নিই কী-কী পাওয়া যায় এই দোকানে।

গনেশ টকির কাছে রবীন্দ্র সরণির বিশ্বকর্মা ভাণ্ডার অ্যান্ড কোং। একটা শতাব্দী ধরে বাঙলির অস্ত্রশস্ত্রের যোগান দিয়ে আসছে। ছুরি, বঁটি, দা, কাটারি থেকে সেফস নাইফ, বুচার্স নাইফ বা স্নিফিং নাইফ থেকে রঙ মেশানোর ছুরি... কি নেই এখানে! আছে পুজোয় ব্যবহারের জন্য খড়গও। কৃষি, গৃহস্থলি, রান্নাবান্না থেকে কারিগরি যন্ত্রপাতি নিয়ে এক বিশাল অস্ত্রের সম্ভার। ১৯০৯-এ হরিপদ মুখোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন এই বিশ্বকর্মা ভাণ্ডার। তারপর চার প্রজন্ম ধরে শানিত ক্ষুরধার তাঁদের ট্র্যাক রেকর্ড। দেখে নিই কী-কী পাওয়া যায় এই দোকানে।

1 / 10
খাঁড়া বা খড়গ বিভিন্ন রকমের হয়। পশুবলির জন্য রাম দা আর বড় খাঁড়া। আর ফল বা সবজি বলির জন্য ছোট খাঁড়া। ছবিতে একদম বাঁ দিকে ফল বলির খাঁড়া। আর তারপর বড় খাঁড়া আর একেবারে ডান দিকে রাম দা। পাঁঠা আর মোষ বলিতে ব্যবহার হয় রাম দা আর বড় খাঁড়া। অতীতে নরবলিও হত। সেখানেও কি এরকমই কিছু ব্যবহৃত হত?

খাঁড়া বা খড়গ বিভিন্ন রকমের হয়। পশুবলির জন্য রাম দা আর বড় খাঁড়া। আর ফল বা সবজি বলির জন্য ছোট খাঁড়া। ছবিতে একদম বাঁ দিকে ফল বলির খাঁড়া। আর তারপর বড় খাঁড়া আর একেবারে ডান দিকে রাম দা। পাঁঠা আর মোষ বলিতে ব্যবহার হয় রাম দা আর বড় খাঁড়া। অতীতে নরবলিও হত। সেখানেও কি এরকমই কিছু ব্যবহৃত হত?

2 / 10
এগুলো সুগার কেইন কাটার বা আখ কাটবার ছুরি। অর্ধচন্দ্রাকার এই ছুরি শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে আখের রস বিক্রেতারা বহুলাংশে ব্যবহার করেন। ছুরিটির দুই প্রান্তের গোলাকার অংশে দু'টি আঙ্গুল ভরে ছুরির ভিতরকার ফলা আখের গায়ে বসিয়ে টানলেই উঠে আসে ছাল। মিষ্টি আখের রস খাওয়ার সময় আমাদের কী খেয়াল থাকে এই ধারালো ছুরির কথা?

এগুলো সুগার কেইন কাটার বা আখ কাটবার ছুরি। অর্ধচন্দ্রাকার এই ছুরি শহরের বিভিন্ন অঞ্চলে আখের রস বিক্রেতারা বহুলাংশে ব্যবহার করেন। ছুরিটির দুই প্রান্তের গোলাকার অংশে দু'টি আঙ্গুল ভরে ছুরির ভিতরকার ফলা আখের গায়ে বসিয়ে টানলেই উঠে আসে ছাল। মিষ্টি আখের রস খাওয়ার সময় আমাদের কী খেয়াল থাকে এই ধারালো ছুরির কথা?

3 / 10
ছবিতে একদম উপরে আছে বিল হুক। একে আমরা দা বা কাটারি বলেও জানি। দা বা কাটারির ব্যবহার নানা কাজে। তার নীচে ক্লিভার বা চপার। ক্লিভার বা চপার মাংস কাটার কাজে আর কিচেনে নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। বাঁ দিকে আছে দুই ধরনের ত্রিশূল। আর ডান দিকে অর্ধচন্দ্রাকৃতির এই ছুরি ব্যবহৃত হয় গাছের ডাল কাটার কাজে।

ছবিতে একদম উপরে আছে বিল হুক। একে আমরা দা বা কাটারি বলেও জানি। দা বা কাটারির ব্যবহার নানা কাজে। তার নীচে ক্লিভার বা চপার। ক্লিভার বা চপার মাংস কাটার কাজে আর কিচেনে নানা কাজে ব্যবহৃত হয়। বাঁ দিকে আছে দুই ধরনের ত্রিশূল। আর ডান দিকে অর্ধচন্দ্রাকৃতির এই ছুরি ব্যবহৃত হয় গাছের ডাল কাটার কাজে।

4 / 10
এটা নরুন। সেই ছোটবেলার ছড়া মনে পড়ে গেল কিনা? "নাকের বদলে নরুন পেলাম টাকডুমাডুম ডুম!"  নখ কাটার কাজে আজও নরুন ব্যবহার হয়। একটা সময়ে ফোঁড়া ফাটাতেও নাপিতরা ব্যবহার করতেন এই ক্ষুদ্র অস্ত্রের।

এটা নরুন। সেই ছোটবেলার ছড়া মনে পড়ে গেল কিনা? "নাকের বদলে নরুন পেলাম টাকডুমাডুম ডুম!" নখ কাটার কাজে আজও নরুন ব্যবহার হয়। একটা সময়ে ফোঁড়া ফাটাতেও নাপিতরা ব্যবহার করতেন এই ক্ষুদ্র অস্ত্রের।

5 / 10
বঁটি কী কাজে লাগে মাছে-ভাতে বাঙালিকে আর নতুন করে বলতে হবে না। তবে এখানকার বঁটির বেশ সুখ্যাতি আছে। বিশ্বকর্মা ভাণ্ডারের একটা বঁটির ধার বজায় থাকে প্রায় ৮-৯ বছর। ব্যবহার না করলেও জং ধরে না। আর রোজ ব্যবহার করলেও ধার কমে না। শুধু একটি চামচ দিয়ে মাঝে-মাঝে ঘষে নিলেই আবার যথারীতি ধারালো।

বঁটি কী কাজে লাগে মাছে-ভাতে বাঙালিকে আর নতুন করে বলতে হবে না। তবে এখানকার বঁটির বেশ সুখ্যাতি আছে। বিশ্বকর্মা ভাণ্ডারের একটা বঁটির ধার বজায় থাকে প্রায় ৮-৯ বছর। ব্যবহার না করলেও জং ধরে না। আর রোজ ব্যবহার করলেও ধার কমে না। শুধু একটি চামচ দিয়ে মাঝে-মাঝে ঘষে নিলেই আবার যথারীতি ধারালো।

6 / 10
একটা কাঠের পাটার ওপর একটা ধারালো ফলা লাগানো। অপর প্রান্তের হাতল তুলে তলায় আম রেখে নামিয়ে এনে চাপ দিলেই আম দু' টুকরো। এটা আম কাটার যন্ত্র। খোসা-শুদ্ধ আম আচার বানানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। সেই কাজে আম কাটার জন্য লাগে এই ধরনের যন্ত্র।

একটা কাঠের পাটার ওপর একটা ধারালো ফলা লাগানো। অপর প্রান্তের হাতল তুলে তলায় আম রেখে নামিয়ে এনে চাপ দিলেই আম দু' টুকরো। এটা আম কাটার যন্ত্র। খোসা-শুদ্ধ আম আচার বানানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। সেই কাজে আম কাটার জন্য লাগে এই ধরনের যন্ত্র।

7 / 10
বাঁকা এই ছুরি গুলো খুকরি। ছোট গাছের ডাল থেকে সবজি মাংস কাটার কাজে আর আত্মরক্ষার কাজেও লাগে এই খুকরি। এগুলির ক্রেতা সিকিউরিটি গার্ড, হাইক করতে যান যারা তাঁরা। আর কখনও-কখনও ফরেন্সিক দপ্তরের থেকেও অর্ডার আসে ক্রাইম সিন রিক্রিয়েট করবার জন্য। নেপালের একরকম জাতীয় এমব্লেম এই খুকরি। আমাদের গোর্খা রেজিমেন্টের লোগোতেও দেখা যায় খুকরি।

বাঁকা এই ছুরি গুলো খুকরি। ছোট গাছের ডাল থেকে সবজি মাংস কাটার কাজে আর আত্মরক্ষার কাজেও লাগে এই খুকরি। এগুলির ক্রেতা সিকিউরিটি গার্ড, হাইক করতে যান যারা তাঁরা। আর কখনও-কখনও ফরেন্সিক দপ্তরের থেকেও অর্ডার আসে ক্রাইম সিন রিক্রিয়েট করবার জন্য। নেপালের একরকম জাতীয় এমব্লেম এই খুকরি। আমাদের গোর্খা রেজিমেন্টের লোগোতেও দেখা যায় খুকরি।

8 / 10
যাঁতি। যাঁরা পান খান, তাঁদের অচেনা নয় এই যন্ত্র। 'বিটল নাট কাটার' বা যাঁতি ব্যবহার হয় সুপারি খণ্ড-খণ্ড করার কাজে। পানের বাটা, ডাবর, যাঁতি আজ বঙ্গজীবনে অতীত হলেও বাঙালির বিবাহ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আচারে যাঁতি ব্যবহারের রেওয়াজ আজও অমলিন।

যাঁতি। যাঁরা পান খান, তাঁদের অচেনা নয় এই যন্ত্র। 'বিটল নাট কাটার' বা যাঁতি ব্যবহার হয় সুপারি খণ্ড-খণ্ড করার কাজে। পানের বাটা, ডাবর, যাঁতি আজ বঙ্গজীবনে অতীত হলেও বাঙালির বিবাহ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আচারে যাঁতি ব্যবহারের রেওয়াজ আজও অমলিন।

9 / 10
রসুই ঘরের অস্ত্রশস্ত্র। ওপরে বিভিন্ন ধরনের বেকার্স নাইফ বা ব্রেড নাইফ। আর নীচে সেফস নাইফ, পেয়ারিং নাইফ, বোনিং নাইফ, পেয়ারিং নাইফ, সান্তোকু নাইফ আর বাটার নাইফ। ধার সব অস্ত্রেই থাকে। হাতটাই তো আসল। যে হাত অস্ত্র হাতে তোলার পর সিদ্ধান্ত নেয় তা সুরক্ষা দেবে,খাদ্য দেবে, নাকি অকারণ রক্ত ক্ষরণ করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করবে?

রসুই ঘরের অস্ত্রশস্ত্র। ওপরে বিভিন্ন ধরনের বেকার্স নাইফ বা ব্রেড নাইফ। আর নীচে সেফস নাইফ, পেয়ারিং নাইফ, বোনিং নাইফ, পেয়ারিং নাইফ, সান্তোকু নাইফ আর বাটার নাইফ। ধার সব অস্ত্রেই থাকে। হাতটাই তো আসল। যে হাত অস্ত্র হাতে তোলার পর সিদ্ধান্ত নেয় তা সুরক্ষা দেবে,খাদ্য দেবে, নাকি অকারণ রক্ত ক্ষরণ করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করবে?

10 / 10
Follow Us: