নামে বেগুন হলেও বেগুনের কিন্তু অনেকস গুণ। অকাধিক পদ বানিয়ে নেওয়া যায় বেগুন দিয়েই। যদিও বেগুনের সঙ্গে অনেকের শত্রুতা থাকে। যাদের কোনও সমস্যা নেই তাঁরা খাওয়া শুরু করতে পারেন নিম বেগুন দিয়েই
গরম গরম বেগুন ভাজা আর তেল হলেই এক থালা ভাত খাওয়া হয়ে যায়। আবার বেগুন দিয়ে বানানো যায় মশলাদার বেগুন বাহার কিংবা বেগুন বাসন্তী
কখনও কখনও গরম ভাতে বেগুনিও খেতে দারু লাগে। খিচুড়ির সঙ্গে বেগুনি হলে তো কোনও কথাই নেই। তবে কুটির সঙ্গে বেগুন পোড়া আর বেগুন ভর্তাও খেতে বেশ লাগে
তবে এই পোড়া আর ভর্তার মধ্যে সূক্ষ্ম এক ফারাক রয়েছে। জানেন কি? যদিও রান্না করতে গিয়ে বেগুন পোড়া আর ভর্তা অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন।
বেগুন পোড়া পুরোপুড়ি ঘটি বাড়ির খাবার। সাধারণত শীতেই সবচেয়ে বেশি বানানো হয়। বেগুন গ্যাস কিংবা উনুনে পুড়ে ওর মধ্যে কাঁচা সরষের তেল, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা, আদা এসব দিয়ে মাখা হয়। শুধুমাত্র শীতকালেই বেগুন পোড়া হয়।
ভর্তা পুরোপুরি ভাবে বাংলাদেশের খাবার। আর এই বেগুন ভর্তা সারাবছরই বানানো হয়ে থাকে। ভর্তা বানানোর সময় বেগুন প্রথমে পোড়ানো হয়। তারপর কড়াইতে তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, লঙ্কা কুচি, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনেপাতা দিয়ে ভাজা ভাজা করা হয়।
বেগুন পোড়া অনেক বেশি সুস্বাদু আর স্বাস্থ্যকর। কিন্তু ভর্তায় তেল মশলা অনেকটাই বেশি থাকে। রুটি দিয়ে ভর্তা কিন্তু বিশেষ ভাল লাগে না
তবে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে কিন্তু ভুল করেও বেগুন খাবেন না। খেলেই সমস্যায় পড়বেন