মরশুম বদলের সঙ্গে জীবনধারাও পরিবর্তন হয়। খাওয়া-দাওয়ায় যেমন পরিবর্তন আসে তেমনই দৈনন্দিন কাজকর্মও একটু অদল-বদল হয়। এই সব কিছুই প্রভাব ফেলে রক্তে শর্করার মাত্রার উপর, বিশেষত যদি আপনি টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। তাই এই শীতে ডায়াবেটিস রোগীরা কীভাবে নিজের খেয়াল রাখবেন, রইল টিপস...
ডায়েটের দিকে বিশেষ নজর দিন। শীতের মরশুম বলে বেশি গাজরের হালুয়া, হট চকোলেট ইত্যাদি খাওয়া একদম চলবে না। এমনকী বছর শেষের পার্টিতেও মদ্যপান করা যাবেন না। ভাজাভুজি বা প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
শীতের সকালে লেপ-কম্বলের ওম ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা না করলেও আপনাকে শরীরচর্চা করতেই হবে। শারীরিকভাবে সক্রিয় না থাকলে আপনি কোনওভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটিতেও লাভবান হতে পারেন।
ডায়েট ও শরীরচর্চার পাশাপাশি আপনাকে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মানসিক চাপ বা উদ্বেগ বেড়ে গেলে তা মারাত্মক প্রভাব ফেলে রক্তে শর্করার মাত্রার উপর। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের এ দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঠান্ডায় শরীরকে গরম রাখতে শীতবস্ত্র সকলেই ব্যবহার করেন। ডায়াবেটিসের রোগীদের এ বিষয়ে আরেকটু সচেতন হতে হবে। বিশেষত পায়ের পাতা যেন সবসময় গরম থাকে সে দিকে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে মোজা ব্যবহার করুন।
শীতে চিনির তৈরি খাবার যেমন এড়িয়ে চলবেন, তেমনই নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করাবেন। নিয়মিত সুগার লেভেল পরীক্ষা করালে আপনি একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।