হিসেব মতো আজ অফিসে ছুটি থাকলেও মঙ্গলবারই জমিয়ে দোল খেলেছেন বেশিরভাগ মানুষ। বুধবারও ছুটি থাকার দৌলতে অনেকেই খেলবেন। কোভিডের প্রকোপে পর পর তিন বছর মানুষ দোলে তেমন আনন্দ করতে পারেননি। এমনকী এভাবে বসন্ত উৎসবের আয়োজনও করা হয়নি।
অনেকদিন পর এবার মন খুলে আনন্দে মেতেছেন মানুষ। একে অন্যের সঙ্গে দেখা, আনন্দ, রং খেলা আর খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমেই দিনটি উদযাপন করছেন। অনেকে হাউস পার্টিও করেছেন। দোল মানেই হাতে ঠান্ডাই, ভাং এর গ্লাস থাকবেই।
আর গরমের দিনে এই ঠান্ডাই মন-প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। একদিকে বাড়ছে রোদ গরম, অন্যদিকে নানা রঙের আবিরে রাঙা হতে তো বেশ লাগে। কিন্তু সারাদিন কাজ, ব্যস্ততার পর এই রং খেললে মাথাও ধরে থাকে দীর্ঘক্ষণ। এমন পরিস্থিতিতে চাই ঘরোয়া প্রতিকার।
অনেকেরই আজ অফিস রয়েছে। সারাক্ষণ মাথা ধরে থাকলে, মাথা যন্ত্রণা করলে কাজ করা মুশকিল। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে আরও বেশি। আর তাই ভাঙ খেলে বেশি করে ঘুমোতে হবে। সেই সঙ্গে প্রচুর জল খেতে হবে।
যত বেশি জল খাবেন ততই কিন্তু সমস্যা দূর হবে। সঙ্গে ডাবের জল, ফলের রস এসবও কিন্তু খেতে হবে। প্রয়োজনে চিনি ছাড়া লিকার চা খান। সব থেকে ভাল যদি স্নান করে ভাত খেয়ে একটা ভাত ঘুম দিয়ে ওঠেন।
ভাং এর সঙ্গে কিন্তু মদ্যপান একেবারেই নয়। দোলে অনেকেই আনন্দে মাততে পেগের পর পেগ মদ খান। এতেই কিন্তু ক্ষতি বেশি হয়। দোল খেলে তাই মদ একেবারেই খাবেন না। প্রয়োজনে মাথায় বরফের সেঁক দিতে পারেন। যদি বেশি মাথা ব্যথা করে।
মাথায় খুব ব্যথা হলে ঠান্ডা সেক দিতেই পারেন। শুধু মাথায় নয়, বরং সেক দিতে পারেন ঘাড়, কপালে। ঠান্ডা সেক দিলে সেই জায়গার নার্ভ, রক্তনালীর প্রদাহ কমে। ফলে কিছুটা স্বস্তি মেলে। এক্ষেত্রে একটি আইসব্যাগে বরফ নিন। তারপর সেই আইসব্যাগ মাথায় লাগান। এরপর মাথা ব্যথা কমলে ঘুমিয়ে পড়ুন।