সন্তানের জন্ম যে কোনও পরিবারের কাছে আনন্দের বিষয়। কিন্তু যজম সন্তান হলে অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান।
যজম সন্তানের অর্থ হল এক সঙ্গে দুই সন্তানের জন্ম। অর্থাৎ সন্তানের প্রতি নজর, তাঁদের প্রতিপালনের খরচ দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া। এর জেরে অনেকেই পড়ে যান চিন্তায়।
যজম হয় দুধরনের। আইডেন্টিক্যাল এবং নন আইডেন্টিক্যাল। আইডেন্টিক্যাল টুইনের ক্ষেত্রে একটি ডিম্বানু ও শুক্রানুর মিলনের পর তা ভেঙে মাতৃগর্ভ দুটি জাইগোট তৈরি হয়। এ জন্য একই রকম দেখতে হয় এই ধরনের যজমরা। নন আইডেন্টিক্যাল টুইনের ক্ষেত্রে দুটি ডিম্বানু একসঙ্গে নিষিক্ত হয়। এই প্রতিবেদনে আমরা জানাব কাদের যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
অনেকেই বলেন, আমাদের পরিবারে বেশি যমজ সন্তান হয়। কথাটা একেবারে ভুল নয়। কারণ যমজ সন্তান হওয়ার ক্ষেত্রে জিনগত একটা বিষয় রয়েছে।
অর্থাৎ আপনার পরিবারে যদি অতীতে যজম সন্তান হওয়ার ইতিহাস থাকে, তাহলে সেই পরিবারে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আপনার যদি কোনও যমজ বোন বা ভাই থাকে, তাহলে আপনার হতে পারে যমজ সন্তান।
বেশি বয়সে মা হলেও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। ৩৫ বা ৪০ বছরের বেশি বয়সে মা হলে এই সম্ভাবনা থাকে বেশি।
বয়স বাড়লে মেয়েদের শরীরে হরমোনে বদল হওয়া শুরু হয়। যৌবনের শেষ দিকে ডিম্ভাণুর উৎপাদনও অনেকের শরীরের বাড়ে। এর জেরে যমজ সন্তান হওয়র সম্ভাবনাও বাড়ে।
এর পাশাপাশি যাঁরা বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন রকম ওষুধ খান। বা আইভিএফ পদ্ধতির আশ্রয় নেন। তাঁদের মধ্যে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।