বর্তমানে লাইফস্টাইলের কারণে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে গেলে ডায়েটের উপর বিশেষ নজর দিতে হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে।
যদিও ফল, সবজি, দানাশস্যের পাশাপাশি ডায়াবেটিসের রোগীদের মশলার উপরও জোর দেওয়া উচিত। আমরা খাবারে স্বাদ আনার জন্য মূলত মশলা ব্যবহার করি। কিন্তু মশলা স্বাস্থ্যের উপরও কার্যকর প্রভাব ফেলে।
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য হলুদ দারুণ উপযোগী। হলুদের মধ্যে কারকিউমিন রয়েছে। এই যৌগটি ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায় এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
সাধারণত ডাল, তরকারি, ঝোলে হলুদ ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন। এছাড়া সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এটি ইমিউনিটি শক্তিশালী হয়।
ডায়াবেটিসের রোগীরা হলুদ ও দারুচিনি একসঙ্গে খেতে পারেন। এক গ্লাস গরম দুধে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো ও দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এই দুধ আপনাকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পান করতে হবে। দারুচিনিও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
হলুদের চা বানিয়েও পান করতে পারেন। প্রথমে জল গরম করুন। এবার এতে কাঁচা হলুদের দু'টুকরো ফেলে দিন। কাঁচা হলুদের বদলে আপনি হলুদ গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। জল ফুটে উঠলে এতে গোলমরিচের গুঁড়ো, লেবুর রস ও আদার রস মিশিয়ে পান করুন।
হলুদের সঙ্গে গোলমরিচ খেলেও আপনি সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। গরম দুধে হলুদ গুঁড়ো ও গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। এই টোটকা আপনাকে সর্দি-কাশির হাত থেকেও দূরে রাখবে।
হলুদের সঙ্গে আমলকি খান। আমলকির মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে। এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানই ডায়াবেটিসের রোগীদের দারুণ উপকারী। গরম জলে হলুদ গুঁড়ো ও আমলকির গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলেই উপকার পাবেন।