চুলের যত্ন নিতে এখন অনেকেই কেরাটিন ট্রিটমেন্টের দিকে ঝুঁকেছেন। রোজকার দূষণ, বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে চুল শুষ্ক হয়ে যায়। সেই সঙ্গে চুলের প্রাকৃতিক কেরাটিনও নষ্ট হয়ে যেতে বসে। যার ফলে চুলের ক্ষতি হয়। যে কারণে অধিকাংশই পার্লারে ছোটেন কেরাটিন ট্রিটমেন্ট করাতে।
তবে সব সময় হাতে সময় থাকে না আর কেরাটিন ট্রিটমেন্ট ব্যায় সাপেক্ষও। আর কেরাটিন ট্রিটমেন্টেও ব্যবহার করা হয় কেমিক্যাল। আর কেমিক্যাল এড়াতে গিয়ে বার বার কেমিক্যালের ব্যবহার একেবারেই ভাল নয়। যে কারণে এবার বাড়িতেই করুন কেরাটিন ট্রিটমেন্ট।
কেরাটিন ট্রিটমেন্ট বা হেয়ার স্মুদেনিংয়ের সাহায্যে চুলে কেরাটিন প্রবেশ করানো হয়। কেরাটিন মূলত এক ধরণের অদ্রবণীয় প্রোটিন, যা আমাদের চুলে, দাঁতে, এবং নখে থাকে। চুলের মূল উপাদানই কেরাটিন।
চুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকলে চুল দেখায় ঝলমলে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। আর প্রোটিনের ঘনত্ব কম থাকলে চুল আর্দ্রতা হারায়, ভেঙে যায়, ঝরে যায়, এবং স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায়।
চুলের এই স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার জন্যই কিন্তু কেরাটিন ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন আছে। চুল যখন অতিরিক্ত উসকোখুসকো হয়। আঁচড়ানোর পরেও চুল কেমন অগোছালো বা ফুলে ফুলে থাকে, সহজে সেট করা যায় না তখনই বুঝবেন কেরাটিন ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন আছে।
একটি পাত্রে ডিমের কুসুম, টকদই ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার মধ্যে পাকা কলা আর মধু খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণ চুলে ২০-৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
এরপর তা শুকিয়ে গেলে তা ভাল করে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সবচাইতে ভাল যদি মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে নিতে পারেন।
ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল আর আমন্ড অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এককাপ সাদা চালের ভাত, দই আর নারকেলের দুধ ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এর সঙ্গে তেল মিশিয়ে মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করুন। এরপর আবার ১ ঘন্টা পর শ্যাম্পু করলেই পাবেন কেরাটিন এফেক্ট।