আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে সূর্যোদয়ের দুই ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে ওঠা শরীরের পক্ষে একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভোরের আগে ঘুম থেকে উঠলে শরীর হাইড্রেট থাকে এবং শরীরে অক্সিজেন সঠিক মাত্রায় পাওয়া যায়। ভোরে ঘুম থেকে ওঠা স্বাস্থ্যকর, কারণ তখন আপনার মস্তিষ্ক সজাগ থাকে, যার ফলে তখন আপনি যাই কাজ করুন না কেন, তা শরীরের জন্য ভালই হয়।
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে দুই গ্লাস গরম জল পান করার। এটি শরীরে টক্সিন জমা হতে দেয় না এবং সিস্টেমকে অ্যালকালাইন করে তোলে এবং রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করে।
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা এন্ডোরফিন এবং সেরোটোনিন মেজাজ উত্থান এবং চাপ হ্রাসকারী হরমোনের সঠিক ডোজ পেতে প্রতিদিন যোগ ব্যায়াম এবং ধ্যান অনুশীলন করার পরামর্শ দেন। দীর্ঘস্থায়ী চাপ এবং হতাশা হৃদরোগের অন্যতম প্রধান কারণ এবং এর হাত থেকে রক্ষা পেতে যোগা ও ধ্যান সহায়ক।
সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া খুব জরুরি। কোনওদিন ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যাবেন না। সঠিক সময়ে লাঞ্চ করবেন। ডিনারে হালকা খাবার খাবেন, যাতে হজমের কোনও সমস্যা না হয়। এর পাশাপাশি তেল, ঝাল, মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলবেন। এতে পেটও সুস্থ থাকবে। যেহেতু এখন গরমের সময় তাই হালকা খাবার খান।
সঠিক সময়ে ঘুমও শরীরের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরের পক্ষে ভীষণ জরুরি। এছাড়া দুপুরের ঘুম ক্লান্তি এবং অলসতা বাড়াতে পারে এবং আপনার ঘুমের চক্রকে ব্যর্থ করতে পারে। তাই দুপুরে ঘুমাবেন না এবং রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন।
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি পূর্ণ শরীরে তেল ম্যাসেজের পরে সানবাথ নিলে তা রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করবে, লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমকে উন্নত করবে, রক্তকে টক্সিন মুক্ত করবে, শরীরের শুষ্কতা দূর করবে এবং জয়েন্টের শক্তভাবকে হ্রাস পাবে, তার সঙ্গে আপনাকে সতেজ এবং পুনরুজ্জীবিত বোধ করাবে।