Maha Kumbh Mela 2025: মাথা নিচে, পা উপরে— অঘোরিদের মৃত্যুর পরে কী করা হয় তাঁর শরীর নিয়ে? শুনলে শিউরে উঠবেন

Maha Kumbh Mela 2025: অঘোরি বাবা কি মানুষের মাংস খায়? কেন অঘোরিরা মানুষের মাথার খুলি বহন করে? কী ভাবে অঘোরিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়?

| Updated on: Jan 14, 2025 | 1:49 PM
চলছে মহাকুম্ভ, ১৪৪ বছর পরে ফের তৈরি হয়েছে মহাকুম্ভের বিরল যোগ। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে মহাকুম্ভ মেলা। সরকারের অনুমান ৪৫ দিনে পড়ায় ৪০ কোটি পুণ্যার্থী আসবেন গঙ্গাস্নান করতে।

চলছে মহাকুম্ভ, ১৪৪ বছর পরে ফের তৈরি হয়েছে মহাকুম্ভের বিরল যোগ। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে মহাকুম্ভ মেলা। সরকারের অনুমান ৪৫ দিনে পড়ায় ৪০ কোটি পুণ্যার্থী আসবেন গঙ্গাস্নান করতে।

1 / 9
ইতিমধ্যেই প্রথম দিনে কুম্ভের শুরুতে পুণ্যলগ্নে অমৃত স্নান সেরেছেন প্রায় ১ কোটি মানুষ। মহাকুম্ভের দ্বিতীয় দিন আবার মকর সংক্রান্তি। এই দিনেই হবে রাজকীয় স্নান। স্বভাবতই ভোর রাত থেকে উঠে গঙ্গায় ডুব দিচ্ছেন ভক্তরা।

ইতিমধ্যেই প্রথম দিনে কুম্ভের শুরুতে পুণ্যলগ্নে অমৃত স্নান সেরেছেন প্রায় ১ কোটি মানুষ। মহাকুম্ভের দ্বিতীয় দিন আবার মকর সংক্রান্তি। এই দিনেই হবে রাজকীয় স্নান। স্বভাবতই ভোর রাত থেকে উঠে গঙ্গায় ডুব দিচ্ছেন ভক্তরা।

2 / 9
কুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র করেই উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে জমা হয়েছেন লাখ লাখ সন্ন্যাসী, নাগা সন্ন্যাসী, অঘোরিরা। যা এই মহাকুম্ভের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কারও গলায় মুন্ডমালা, কেউ আবার উলঙ্গ হয়ে সারা গায়ে ছাই মেখে বসে আছেন। কেউ হয়তো সাধনা করতেই স্নান করেননি ৩২ বছর। কেউ আবার ৯ বছর ধরে এক হাত উপরে তুলে রেখেছেন, কখনও নামাননা সেই হাত।

কুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র করেই উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে জমা হয়েছেন লাখ লাখ সন্ন্যাসী, নাগা সন্ন্যাসী, অঘোরিরা। যা এই মহাকুম্ভের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। কারও গলায় মুন্ডমালা, কেউ আবার উলঙ্গ হয়ে সারা গায়ে ছাই মেখে বসে আছেন। কেউ হয়তো সাধনা করতেই স্নান করেননি ৩২ বছর। কেউ আবার ৯ বছর ধরে এক হাত উপরে তুলে রেখেছেন, কখনও নামাননা সেই হাত।

3 / 9
তেমনই রয়েছে অসংখ্য অঘোরিরা। সাধারণ মানুষের মধ্যে চিরকাল এঁদের নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। তাঁর বড় কারণ, সাধারণ মানুষের চেয়ে দূরে থাকাটাই বেশি পছন্দের অঘোরিদের। লোক চক্ষুর আড়ালে নিজেদের তন্ত্র মন্ত্র সাধনা নিয়ে মেতে থাকেন এঁরা। মৃতদেহ নিয়ে করেন শব সাধনা। জন্ম-মৃত্যুর রহস্য ভেদ করাই এঁদের অন্যতম উদ্দেশ্য।

তেমনই রয়েছে অসংখ্য অঘোরিরা। সাধারণ মানুষের মধ্যে চিরকাল এঁদের নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। তাঁর বড় কারণ, সাধারণ মানুষের চেয়ে দূরে থাকাটাই বেশি পছন্দের অঘোরিদের। লোক চক্ষুর আড়ালে নিজেদের তন্ত্র মন্ত্র সাধনা নিয়ে মেতে থাকেন এঁরা। মৃতদেহ নিয়ে করেন শব সাধনা। জন্ম-মৃত্যুর রহস্য ভেদ করাই এঁদের অন্যতম উদ্দেশ্য।

4 / 9
সাধুদের মতোই এঁদের পরিবার, ঘর-সংসারের সঙ্গে কোনও যোগ থাকে না। শ্মশানেই তাঁদের বাস। অঘোরিদের নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। অঘোরি বাবা কি মানুষের মাংস খায়? কেন অঘোরিরা মানুষের মাথার খুলি বহন করে? কী ভাবে অঘোরিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়?

সাধুদের মতোই এঁদের পরিবার, ঘর-সংসারের সঙ্গে কোনও যোগ থাকে না। শ্মশানেই তাঁদের বাস। অঘোরিদের নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। অঘোরি বাবা কি মানুষের মাংস খায়? কেন অঘোরিরা মানুষের মাথার খুলি বহন করে? কী ভাবে অঘোরিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়?

5 / 9
মনে করা হয় ধর্ম রক্ষার প্রধান দায়িত্ব থাকে অঘোরি এবং নাগা সাধুদের উপরে। কথিত একজন অঘোরির মৃত্যু হলে তাঁদের মৃতদেহ দাহ করা হয় না আবার কবর দেওয়া হয় না। তাহলে কী ভাবে সম্পন্ন হয় শেষ কৃত্য?

মনে করা হয় ধর্ম রক্ষার প্রধান দায়িত্ব থাকে অঘোরি এবং নাগা সাধুদের উপরে। কথিত একজন অঘোরির মৃত্যু হলে তাঁদের মৃতদেহ দাহ করা হয় না আবার কবর দেওয়া হয় না। তাহলে কী ভাবে সম্পন্ন হয় শেষ কৃত্য?

6 / 9
অঘোরির মৃত্যুর পরে, তাঁর দেহটিকে মাথা নিচু করে এবং পা উপরে রেখে পদ্মাসনে উপবিষ্ট অবস্থায় সমাধি দেওয়া হয়। দেড় মাস ধরে এই ভাবেই রাখা হয় লাশ। সাধারণ নিয়মেই এই ভাবে মৃত দেহ রেখে দেওয়ার ফলে তাতে পচন ধরে, নানা পোকামাকড় জীবাণু জন্মায় ওই শরীরে।

অঘোরির মৃত্যুর পরে, তাঁর দেহটিকে মাথা নিচু করে এবং পা উপরে রেখে পদ্মাসনে উপবিষ্ট অবস্থায় সমাধি দেওয়া হয়। দেড় মাস ধরে এই ভাবেই রাখা হয় লাশ। সাধারণ নিয়মেই এই ভাবে মৃত দেহ রেখে দেওয়ার ফলে তাতে পচন ধরে, নানা পোকামাকড় জীবাণু জন্মায় ওই শরীরে।

7 / 9
দেড় মাস পর মৃতদেহ নিয়ে এসে মাথা ছাড়া বাকি অংশ গঙ্গায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্বাস এতে অঘোরিদের পাপ গঙ্গায় ধুয়ে যায়। মৃত্যুর ৪০ দিন পরে অঘোরিদের মাথার খুলিতে মদ ঢালা হয়। শোনা যায়, মদ মাথার খুলিতে পৌছলেই তা নাকি লাফাতে শুরু করে। তাই আগে শক্ত করে বেঁধে রাখা হয় সেই খুলি।

দেড় মাস পর মৃতদেহ নিয়ে এসে মাথা ছাড়া বাকি অংশ গঙ্গায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়। বিশ্বাস এতে অঘোরিদের পাপ গঙ্গায় ধুয়ে যায়। মৃত্যুর ৪০ দিন পরে অঘোরিদের মাথার খুলিতে মদ ঢালা হয়। শোনা যায়, মদ মাথার খুলিতে পৌছলেই তা নাকি লাফাতে শুরু করে। তাই আগে শক্ত করে বেঁধে রাখা হয় সেই খুলি।

8 / 9
অঘোরিদের বিশ্বাস ৪০ দিন পরে মদ মাথার খুলিতে গেলে সেই খুলি নাকি কথা বলতেও শুরু করে। এমনকি মৃত অঘোরি তাঁর জীবদ্দশায় করা তন্ত্র সাধনা এবং তন্ত্র কর্ম সম্পর্কিত জ্ঞান দান করে অন্য অঘোরিকে। (বিঃ দ্রঃ - এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র। ( সব ছবি - PTI)

অঘোরিদের বিশ্বাস ৪০ দিন পরে মদ মাথার খুলিতে গেলে সেই খুলি নাকি কথা বলতেও শুরু করে। এমনকি মৃত অঘোরি তাঁর জীবদ্দশায় করা তন্ত্র সাধনা এবং তন্ত্র কর্ম সম্পর্কিত জ্ঞান দান করে অন্য অঘোরিকে। (বিঃ দ্রঃ - এই প্রতিবেদনে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তা প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র। ( সব ছবি - PTI)

9 / 9
Follow Us: