খোসা সহ চারটে আলু নুন দিয়ে প্রেসারে সেদ্ধ করে নিন। দেড় কাপ ময়দা-আটা নিয়ে ওর মধ্যে একটু নুন আর সাদা তেল দিয়ে ভাল করে প্রথমে মেখে নিন। শুকনো মাখা হয়ে গেলে অল্প অল্প জল দিয়ে মেখে নিতে হবে।
লুচি-পরোটা বানাতে যেভাবে মাখেন ওভাবেই মেখে নিতে হবে। এবার ময়দা মেখে ৩০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। সেদিধ করা আলুর খোসা ছাড়িয়ে গ্রেটারে গ্রেট করে নিতে হবে।
হাতে স্ম্যাশ করার পরিবর্তে এভাবে গ্রেট করে নিলেই সবথেকে ভাল। এই আলুর মধ্যে একটু নুন, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, হিং, চাট মশলা, জোয়ান সব খুব ভাল করে দিয়ে মেখে নিতে হবে।
এই পরোটায় পেঁয়াজ-রসুন লাগে না। তবে কাঁচালঙ্কা কুচি আর ধনেপাতা দিলে স্বাদ খুব ভাল হয়। আলুর পুর বানিয়ে ছোট ছোট গোলা করে রাখতে হবে।
এবার এর মধ্যে পুর ভরে বেলে নিতে হবে। খুব বেশি মোটা করে বেলবেন না। তাহলে পুর বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ছোট ছোট লুচির আকারে বেলে নিন।
এবার সাদা তেলে সব কচুরি একে একে দিয়ে ভেজে ফেলুন। লাল হয়ে যাওয়ার আগে তুলে নিন। খুব বেশি লালচে করে কিন্তু ভাজবেন না।
আচার বা টমেটো সসের সঙ্গে এই আলুর কচুরি পরিবেশন করুন। এতে খেতে খুবই ভাল লাগবে। এই কচুরির সঙ্গে কোনও তরকারির প্রয়োজন পড়ে না। রাতে রুটির পরিবর্তে এক একদিন এমন কচুরি বানিয়ে খেতে পারেন।
আলুর পরোটার পরিবর্তে এইভাবে কচুরি বানিয়ে নেওয়া সহজ আর খেতেও বেশ ভাল লাগে। নিরামিষের দিনেও বানিয়ে নিন। ঝামেলা ছাড়াই পেট ভরে যাবে।