রোজ রান্না আর খাওয়া করতেই হবে। আমাদের শরীরের শক্তির জন্য় প্রয়োজন খাবারের। রোজ একই খাবার খেতে মোটেই ইচ্ছে করে না।
যিনি রান্না করেন তাঁর যেমন বিরক্ত লাগে তেমনই একই হাতের রান্না খেতে রোজদিন ভাল লাগে না। রান্না পুরোটাই কেমিস্ট্রি। অতিরিক্ত নুন, লঙ্কা, মশলা পড়লেও খাবারের সেই স্বাদ থাকে না।
তাই খাবারের স্বাদ বদলাতে ভাজা মশলা ব্যবহার করেন। জিরে, ধনে শুকনো কড়াইতে নেড়ে গুঁড়ো করে নিন। সেই সঙ্গে শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো করে নিন। এতেও খাবারের স্বাদ বদল হয়।
খাবার পাতে শাক-সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। কারণ শাক-সবজি খেলে হজমের সমস্যা আপনাআপনিই অনেকটা কমে। কারণ, শাক-সবজি দ্রুত হজম হয়। এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সব চেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায় যদি সবজি কাঁচা খাওয়া যায়। এতে হজমশক্তি আরও উন্নত হয়।
হাত দিয়ে রান্নায় নুন ব্যবহার করুন। যে কোনও বড় শেফই রান্নায় হাত দিয়ে নুন দেন। এতে নুনের পরিমাণ ঠিক থাকে আর রান্নার স্বাদ ভাল হয়। খাবার এক টু সিদ্ধ হলে তারপরই নুন দিন।
গোটা জিরে, ধনে, গোলমরিচ, মৌরি আর হিং দিয়ে একটা ভাজা মশলা বানিয়ে রাখুন। এতে তরকারির স্বাদ ভাল হয়। বিশেষত নিরামিষের দিনে এই সবজি খুবই ভাল লাগে খেতে।
কাশ্মীরী লঙ্কা গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। তরকারিতে রং আনতে এই লঙ্কা গুঁড়ো খুবই ভাল কাজ করে। তেলে লঙ্কা, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে চেড়ে তবেই টমেটো, পেঁয়াজ এই সব দিন।
গুঁড়ো মশলার পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করুন। একটা বাটিতে গুঁড়ো মশলা নিয়ে ওর মধ্যে সামান্য জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই মশলা সব তরকারিতে ব্যবহার করলে ভাল স্বাদ পাবেন।