Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

করোনা থেকে সেরে ওঠার পর বাড়ছে যক্ষ্মার প্রবণতা! উদ্বিগ্ন চিকিত্সকবিজ্ঞানীরা

করোনা থেকে সুস্থ হয়েও রেহাই নেই। সম্প্রতি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে করোনা থেকে সেরে ওঠার পর কোভিড রোগীদের মধ্যে প্রধাণত যক্ষ্মা রোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ সামলে উঠার পরই দেশে আছড়ে পড়তে চলেচে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ।

| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2021 | 5:43 PM
কর্ণাটকে টিবি-পরীক্ষার জন্য একটি অভিযান শুরু করা হয়, সেখানেই ধরা পড়ে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যক্ষ্মার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যার জেরে চিকিত্সকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

কর্ণাটকে টিবি-পরীক্ষার জন্য একটি অভিযান শুরু করা হয়, সেখানেই ধরা পড়ে, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যক্ষ্মার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যার জেরে চিকিত্সকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

1 / 8
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কাশি, জ্বর ও শ্বাস নিতে সমস্যা-সহ টিবি রোগের চারটি সাদারণ লক্ষণ সনাক্ত করা গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে এই রিপোর্ট হাতে এসেছে।  যদিও কোভিড ও টিবি একই রকমের উপসর্গ দেখা যায়। তবে সংক্রমণের সময় দীর্ঘদিন ইনকিউবেশনে থাকার সময় এই মারাত্মক রোগ শরীরের মধ্যে বাসা বাঁধতে শুরু করে বলে জানা গিয়েছে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কাশি, জ্বর ও শ্বাস নিতে সমস্যা-সহ টিবি রোগের চারটি সাদারণ লক্ষণ সনাক্ত করা গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে এই রিপোর্ট হাতে এসেছে। যদিও কোভিড ও টিবি একই রকমের উপসর্গ দেখা যায়। তবে সংক্রমণের সময় দীর্ঘদিন ইনকিউবেশনে থাকার সময় এই মারাত্মক রোগ শরীরের মধ্যে বাসা বাঁধতে শুরু করে বলে জানা গিয়েছে।

2 / 8
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে মোট ১০ মিলিয়ন মানুষ টিবি রোগে আক্রান্ত হয়েছিল।  তার মধ্যে মোট ১.৪ মিলিয়ন মানুষ এই মারাত্মক রোগে মারা গিয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে এই দেশেতেই। এরপরে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, চিন, ফিলিপাইন. পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে মোট ১০ মিলিয়ন মানুষ টিবি রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। তার মধ্যে মোট ১.৪ মিলিয়ন মানুষ এই মারাত্মক রোগে মারা গিয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে এই দেশেতেই। এরপরে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, চিন, ফিলিপাইন. পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা।

3 / 8
ভারত, চিন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন- এই চারটি দেশ বিশ্বের টিবি রোগের দুই তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী। ভারতে প্রতি বছর টিবিতে আক্করান্ত হোন আনুমানিক ৪.৮ লক্ষ মানুষ। প্রতিদিন গড়ে ১৪০০-এরও বেশি মানুষ এই রোগে মারা যান। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে থেকে এই মারাত্মক রোগ দূর করার লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

ভারত, চিন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন- এই চারটি দেশ বিশ্বের টিবি রোগের দুই তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী। ভারতে প্রতি বছর টিবিতে আক্করান্ত হোন আনুমানিক ৪.৮ লক্ষ মানুষ। প্রতিদিন গড়ে ১৪০০-এরও বেশি মানুষ এই রোগে মারা যান। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে থেকে এই মারাত্মক রোগ দূর করার লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

4 / 8
টিবি নির্মূলের প্রচেষ্টার মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা মহামারি । দীর্ঘদিন ধরে বিরতিহীন লকডাউনের কারমে বহু মানুষ উপসর্গ দেখা সত্ত্বেও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেননি। ফলে পরিস্থিতিত জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোভিড আক্রান্তের মধ্যেই টিবি রোগের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করেছে। করোনার পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বাড়বাড়ন্ত পরিস্থিতিতে আরও জটিল হয়ে গিয়েছে।

টিবি নির্মূলের প্রচেষ্টার মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা মহামারি । দীর্ঘদিন ধরে বিরতিহীন লকডাউনের কারমে বহু মানুষ উপসর্গ দেখা সত্ত্বেও ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেননি। ফলে পরিস্থিতিত জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোভিড আক্রান্তের মধ্যেই টিবি রোগের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করেছে। করোনার পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বাড়বাড়ন্ত পরিস্থিতিতে আরও জটিল হয়ে গিয়েছে।

5 / 8
চিকিত্সকদের মতে, টিবির লক্ষণগুলি কোভিডের মতোনই ভ্রান্ত রূপ দেখাচ্ছে। উভয় ভাইরাসই প্রাথমিকভাবে ফুসফুসে আক্রমণ ঘটাচ্ছে। গত বছর থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত কোভিড রোগীদের জন্য টিবি স্ক্রিনিংয়ের সুপারিশ করেছিল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিড রোগীদের মধ্যে যক্ষ্মার প্রকোপ ০.৩৭ থেকে ৪.৪৭ শতাংশ পাওয়া গিয়েছে।

চিকিত্সকদের মতে, টিবির লক্ষণগুলি কোভিডের মতোনই ভ্রান্ত রূপ দেখাচ্ছে। উভয় ভাইরাসই প্রাথমিকভাবে ফুসফুসে আক্রমণ ঘটাচ্ছে। গত বছর থেকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সমস্ত কোভিড রোগীদের জন্য টিবি স্ক্রিনিংয়ের সুপারিশ করেছিল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিড রোগীদের মধ্যে যক্ষ্মার প্রকোপ ০.৩৭ থেকে ৪.৪৭ শতাংশ পাওয়া গিয়েছে।

6 / 8
যক্ষ্মার কারণ: ব্য়াকটেরিয়া (Mycobacterium tuberculosis) প্রভাবে শরীরের মধ্যে বাসা বাধে যক্ষ্মা (Tuberculosis) রোগ। এই জেরে প্রথমেই ফুসফুসের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।  কাশি ও হাঁচির মাধ্যমে বায়ু দ্বারা একজনের থেকে অন্যজনের মধ্যে এই ভয়ংকর ব্যকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে।

যক্ষ্মার কারণ: ব্য়াকটেরিয়া (Mycobacterium tuberculosis) প্রভাবে শরীরের মধ্যে বাসা বাধে যক্ষ্মা (Tuberculosis) রোগ। এই জেরে প্রথমেই ফুসফুসের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। কাশি ও হাঁচির মাধ্যমে বায়ু দ্বারা একজনের থেকে অন্যজনের মধ্যে এই ভয়ংকর ব্যকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে।

7 / 8
সক্রিয় যক্ষ্মার লক্ষণগুলি হল- তিন বা তার বেশি সপ্তাহ ধরে কাশি হওয়া, কাশির মধ্য দিয়ে রক্ত ও শ্লেষ্মা নির্গত হওয়া, কাশির সঙ্গে বুকে ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ওজন হ্রাস, ক্লান্তি, জ্বর, রাতে অত্য়াধিক পরিমাণে ঘাম হওয়া, ঠান্ডা লাগা ও ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া।

সক্রিয় যক্ষ্মার লক্ষণগুলি হল- তিন বা তার বেশি সপ্তাহ ধরে কাশি হওয়া, কাশির মধ্য দিয়ে রক্ত ও শ্লেষ্মা নির্গত হওয়া, কাশির সঙ্গে বুকে ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত ওজন হ্রাস, ক্লান্তি, জ্বর, রাতে অত্য়াধিক পরিমাণে ঘাম হওয়া, ঠান্ডা লাগা ও ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া।

8 / 8
Follow Us: