AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Yogini Ekadashi Vrat: পুরনো পাপ থেকে মুক্তি পেতে এই একাদশী পালন করা জরুরি, সারতে পারে দুরারোগ্য ব্যাধি!

Vrat Katha: যে ব্যক্তি এই মহাপাপবিনাশকারী ও পুন্যফলপ্রদায়ী যোগিনী একাদশীরকথা পাঠ এবং শ্রবণ করে সে অচিরেইসর্বপাপ থেকে মুক্ত হয়। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে জুন বা জুলাই মাসে পড়ে এই ব্রত পালন করা হয়।

Yogini Ekadashi Vrat: পুরনো পাপ থেকে মুক্তি পেতে এই একাদশী পালন করা জরুরি, সারতে পারে দুরারোগ্য ব্যাধি!
| Edited By: | Updated on: Jun 24, 2022 | 12:45 PM
Share

প্রতি মাসে দুটি একাদশী থাকে এবং প্রতিটি একাদশী বিভিন্ন নামে পরিচিত। পূর্ণিমন্ত ক্যালেন্ডার অনুসারে, আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষে যে একাদশী পালিত হয় তা যোগিনী একাদশী (Yogini Ekadashi) নামে পরিচিত। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী ব্রত (Ekadashi Vrat) মাহাত্ম্য যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদরূপে বর্ণিত আছে। আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশী ‘যােগিনী’ নামে খ্যাত । মহাপাপ নাশকারী এই তিথি ভবসাগরে পতিত মানুষের উদ্ধার লাভের একমাত্র নৌকাস্বরূপ। ব্রত পালনকারীদের পক্ষে এটি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রত বলে প্রসিদ্ধ । যাঁরা একাদশী ব্রত পালন করেন, এদিন উপবাস করেন তাঁরা। যাঁরা পুরনো পাপ থেকে মুক্তি পেতে চান, তাঁদের জন্য এই একাদশী পালন করা জরুরি, এর ফলে স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। এদিন বিষ্ণু মন্ত্র বা বিষ্ণু সহস্রনাম জপ করতে হয়। বলা হয়, যোগিনী একাদশী পালন করলে ৮৮ জন ব্রাহ্মণভোজন করানোর পুণ্যলাভ হয়।

যোগিনী একাদশী ব্রত মুহুর্ত

যে ব্যক্তি এই মহাপাপবিনাশকারী ও পুন্যফলপ্রদায়ী যোগিনী একাদশীরকথা পাঠ এবং শ্রবণ করেন সে অচিরেইসর্বপাপ থেকে মুক্ত হন। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে জুন বা জুলাই মাসে পড়ে এই ব্রত পালন করা হয়। দশমী তিথির (দশম দিন) রাত থেকে দ্বাদশী তিথির (দ্বাদশ দিন) সকাল পর্যন্ত ব্রতের তিথি স্থায়ী হয়। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে ২৩ জুন বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪১ মিনিট হইতে ২৪ জুন শুক্রবার রাত ১১ টা ১২ মিনিট পর্যন্ত।

গুরুত্ব

১. বাড়িতেই এই তিথি পালন করে লাভ করুন ১০ বছরের পূণ্য লাভ হবে একবারে। এই একাদশীতে ভগবান বিষ্ণুর পাশাপাশি মহাদেবী লক্ষ্মীরও পুজো করতে পারেন।

২. এই পুজোয়, দক্ষিণমুখী শঙ্খগুলিতে জাফরান মিশ্রিত দুধ রাখুন এবং সেই দিয়েই আরাধ্যা ঈশ্বরের অভিষেক করুন। এই অভিষেক গোপালও খুব পছন্দ করেন।

৩. বাড়িতে গোপাল থাকলে এদিনে গোপালকেও মাখন ও মিশ্রি দিয়ে পুজো দিতে পারেন।

৪. বিশেষ এই একাদশী তিথিতে শিব লিঙ্গ তামার পাত্র দিয়ে জল অর্পণ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।

৫. সেই সঙ্গে শিব লিঙ্গে জল ঢালার সময় ওম নম: শিবায় মন্ত্র জপ করুন। এই মন্ত্র কমপক্ষে ১০৮ বার উচ্চারণ করা প্রয়োজন।

৬. পাশাপাশি শিবলিঙ্গে বিল্বপত্র এবং ধুতরা ফুল অর্পণ করুন। প্রদীপ এবং কর্পূর জ্বালিয়ে আরতি করুন।

৭. এই একাদশীর তিথিতে বজরঙ্গবলীর সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে হনুমান চালিশা পাঠ করুন।

৮. পুজোর পরে দুঃস্থদের অর্থ ও খাদ্যশস্য দান করা উচিত। এই তিথিতে সকাল বেলায় স্নান সেরে তুলসী গাছে জল অর্পণ করুন।

৯. পাশাপাশি সূর্যাস্তের সময় তুলসীর গাছে প্রদীপ জ্বালান এবং তুলসী মঞ্চ তিন বা পাঁচ বার প্রদক্ষিণ করুন।

Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।