Guru Purnima : হাজার বছর আগে যে গুহায় বসে ব্যাসদেব মহাভারত রচনা করেছিলেন, সেই গুহা কোথায়, জানেন?
ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে তো যান, কিন্তু এটি কী জানেন, ভারতের কোথায় মহর্ষি বেদব্যাস হাজার বছর আগে বসবাস করতেন? অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর অজানা।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে ২০২১ সালের জুলাই মাসে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি উৎসব ও পুজো রয়েছে। প্রাচীন আর্য সমাজে শিক্ষক ও গুরুর স্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ সেই সময় থেকে গুরু-শিষ্যের যে পারস্পরিক সম্মানবোধ কাজ করত, সেই অনভূতিকে জাগ্রত করতেই এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। গুরুকে শ্রদ্ধা জানাতে বৈদিক যুগ থেকেই আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিকেই বিশেষ দিন হিসেবে পালন করা হয়। এই বছর আগামী ৭ শ্রাবণ অর্থাত ২৪ জুলাই, শনিবার সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে গুরু পূর্ণিমা তিথি।
হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী,গুরু পূর্ণিমার দিনে মহাঋষি বেদব্যাসের জন্মতিথি হিসেবে পালন করা হয়। ঋষি পরাশর ও মত্স্যগন্ধা সত্বতীর সন্তান ছিলেন বেদব্যাস। কিন্তু জন্মের পর তাঁকে পরিত্য়াগ করলে পরবর্তী কালে তিনিই মহাঋষিতে পরিণত হন। তিনি চতুর্বেদের সম্পাদনা ও পরিমার্জনা করেন। ১৮টি পুরাণ ছাড়াও রচনা করেন মহাভারত ও শ্রীমদ্ভগবত।
ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে তো যান, কিন্তু এটি কী জানেন, ভারতের কোথায় মহর্ষি বেদব্যাস হাজার বছর আগে বসবাস করতেন? অনেকেই এই প্রশ্নের উত্তর অজানা। উত্তরাখণ্ডের মানা নামক একটি গ্রাম। যাকে ‘হিন্দুস্তানের শেষ গ্রাম’ নামে অভিহিত করা হয়। আর এই গ্রামটি এমনি এমনি বিখ্যাত হয়নি। কারই এই সুন্দর গ্রামের একটি বিশাল পাথরের গুহা রয়েছে, যেখানে নাকি হাজার বছর আগে বাস করতেন মহর্ষি বেদব্যাস। স্থানীয়রা ওই গুহাটিকে ব্যাস গুহা বলে থাকেন। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, এই গুহাতে বসেই মহাভারত রচনা করেছিলেন তিনি। এই গুহাতেই নাকি স্বয়ং গনেশ বেদব্যাসকে মহাভারত রচনায় সাহায্য করেছিলেন।
তবে স্থানীয়দের বিশ্বাসের সঙ্গে পুরতত্ত্ববিদদের কথার কিছু পার্থক্য রয়েছে। এই পাথরের গুহার ছাদটি বেশ অদ্ভূত। আশেপাশের সব পাহাড় মসৃণ ও পাহাড়ি ঢাল থাকলেও এই গুহার ছাদটি দেখে মনে হয়, কোন বিশাল পুঁথি যেন এখানে প্রস্তরীভূত হয়ে রয়েছে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, বেদব্যাস বৃহত্তর মহাভারত রচনার সময় অনেক অংশ প্রকাশ করতে চাননি। তাই সেই পৃষ্ঠাগুলি এখানে এইভাবে প্রস্তীভূত করে রেখেছেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬১০ মিটার উচ্চতায় এই গুহাটি অবস্থিত। গুহার পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে সুতলেজ নদী। চারধামের অন্যতম ধাম বদ্রীনাথ থেকে এই গুহাটি বেশ কাছেই। উত্তরাখণ্ডের অন্যতম দর্শণীয় ও আকর্ষণীয় বদ্রীনাথ মন্দিরে ঘুরতে গেলে এই ব্যাস গুহাটিও দেখে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন: Guru Purnima 2021: গুরু পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়, জানেন?