Arshdeep Singh : অর্শদীপের ডেলিভারিতে দুটো স্টাম্প টুকরো, কত টাকার ক্ষতি জানেন!
LED digital stump : আগে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যেত উইকেটে বল ছোঁয়া লেগে বেরিয়ে গেলেও বেল সরেছে কিনা বোঝা যেত না। সে কারণেই এলইডি স্টাম্প এবং জিং বেল ব্য়বহার শুরু হয়েছিল। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম বার এই স্টাম্প ব্য়বহার হয়। এখন সাদা বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই শুধু নয়, বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও ব্য়বহার হয়।
কলকাতা : মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে রুদ্ধশ্বাস জয় পঞ্জাব কিংসের। হাই স্কোরিং ম্য়াচ। দুই ইনিংস মিলিয়ে উঠল ৪১৫ রান। এর চেয়েও দামি হয়ে উঠল অর্শদীপ সিংয়ের শেষ ২ ওভার। ২১৫ রান তাড়া করতে নেমে ভালো ভাবেই ম্য়াচের নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু স্পেলের শেষ দু-ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন অর্শদাপ সিং। ১৮ তম ওভারই ম্য়াচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘ সময় পর বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। তাঁর উইকেট সহ শেষ ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে ২ উইকেট। কিন্তু এর মধ্যেও বিশাল টুইস্ট রয়েছে। যা কিছুটা ব্য়তিক্রমী। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports–এর এই প্রতিবেদনে।
শেষ তিন ওভারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। ক্রিজে তখনও সূর্যকুমার যাদব এবং টিম ডেভিড। এই রান তোলা তাঁদের কাছে কঠিন নয়। ১৮তম ওভারে অর্শদীপের বোলিংয়ে ছয় মেরে শুরু করলেন টিম ডেভিড। এরপর ডট বল। তৃতীয় বলে সিঙ্গল নিয়ে সূর্যকে স্ট্রাইক দেন টিম। অর্শদীপের লো ফুলটস ফ্লিক করেন সূর্য। মিড উইকেট বাঁ দিকে ঝাপিয়ে অনবদ্য ক্য়াচ নেন অথর্ব তাইডে। এটাই ম্য়াচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। পঞ্জাব শিবিরে দামী উইকেট। কেন না, ২৬ বলে ৫৭ রানে ফেরেন সূর্য। স্ট্রাইকরেট প্রায় ২২০!
তবে আরও দামি ঘটনা ইনিংসের শেষ ওভারে। প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। প্রথম বলেই সিঙ্গল নেন টিম ডেভিড। স্ট্রাইকে তিলক ভার্মা। স্লগ সুইপ চেষ্টা করেন তিলক। ব্য়াটে বলে সংযোগ হয়নি। ওয়াইডের রিভিউ নেয় মুম্বই। কোনও লাভ হয়নি। ডট বলের চাপ। তার ওপর আস্কিং রেট বাড়ছে। বাঁ হাতি ব্য়াটার তিলককে অনবদ্য ডেলিভারিতে বোল্ড করেন অর্শদীপ। মিডল স্টাম্প টুকরো করে দেন। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন স্টাম্প আনাতে হয়। পরের বলে ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামেন আর এক বাঁ হাতি ব্য়াটার নেহাল ওয়াদেরা। তাঁকে গোল্ডেন ডাক করেন অর্শদীপ। এ বারও মিডল স্টাম্প টুকরো করেন অর্শদীপ। পরপর দু-বলে দুটি স্টাম্প টুকরো করে দলের জয়ে বড় অবদান অর্শদীপের। কিন্তু দুটো উইকেটের জন্য় কত টাকার ক্ষতি হল জানেন?
আগে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যেত উইকেটে বল ছোঁয়া লেগে বেরিয়ে গেলেও বেল সরেছে কিনা বোঝা যেত না। সে কারণেই এলইডি স্টাম্প এবং জিং বেল ব্য়বহার শুরু হয়েছিল। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম বার এই স্টাম্প ব্য়বহার হয়। এখন সাদা বলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই শুধু নয়, বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও ব্য়বহার হয়। এক সেট এলইডি স্টাম্প এবং জিং বেলের দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। ফলে অর্শদীপ পরপর দু-বলে দুটি উইকেট ভাঙায় ৬০ লক্ষ টাকার ক্ষতি! প্রকৃত অর্থেই যেন ‘দামী’ ওভার হয়ে দাঁড়াল মুম্বই ইনিংসের শেষ ওভারটি।