Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ajinkya Rahane: তিনবেলা অজিঙ্ক রাহানের পাতে কোন কোন খাবার পড়ে? KKR ক্যাপ্টেন জানালেন ফিটনেস মন্ত্রও

কোহলি যেমন ডায়েট নিয়ে, ফিটনেস নিয়ে কোনও আপস করেন না, সকল ক্রিকেটার আবার তেমন হন না। ফিটনেস তাঁদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পছন্দের খাবারের থেকে দূরে থাকতে পারেন না। তেমনই এক ক্রিকেটার অজিঙ্ক রাহানে।

Ajinkya Rahane: তিনবেলা অজিঙ্ক রাহানের পাতে কোন কোন খাবার পড়ে? KKR ক্যাপ্টেন জানালেন ফিটনেস মন্ত্রও
রোজ রাহানের পাতে কোন খাবার পড়ে? KKR ক্যাপ্টেন জানালেন ফিটনেস মন্ত্রও
Follow Us:
| Updated on: Apr 09, 2025 | 4:31 PM

পেট পরিষ্কার তো মন ভালো। আর মন ভালো তো সব কাজেই মেলে বাড়তি এনার্জি। ২২ গজে তুফান তোলেন যে ক্রিকেটাররা, আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো তাঁদের ডায়েট চার্ট হয় না। অনেক ক্রিকেটার ফিট থাকার জন্য পছন্দের নানা খাবার মুখেও তোলেন না। এই তো বিরাট কোহলির কথাই যদি শোনাই, বাটার চিকেন নাম শুনলেই জিভে জল আসত তাঁর। কিং কোহলির প্রিয় খাবারও ছিল এটাই। ক্রিকেটে যখন একেবারে মগ্ন হয়েছেন তিনি, সেই সময় বাটার চিকেনের সঙ্গে ব্রেক আপ করেছেন। কোহলি যেমন ডায়েট নিয়ে, ফিটনেস নিয়ে কোনও আপস করেন না, সকল ক্রিকেটার আবার তেমন হন না। ফিটনেস তাঁদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পছন্দের খাবারের থেকে দূরে থাকতে পারেন না। তেমনই এক ক্রিকেটার অজিঙ্ক রাহানে (Ajinkya Rahane)। কেকেআরের (KKR) ক্যাপ্টেন রাহানের ডায়েটে কী কী থাকে জানেন? ফিটনেস মন্ত্রও শেয়ার করেছেন রাহানে।

কেকেআরের নতুন উদ্যোগ ‘Train Like a Knight’। সেখানে প্রথম এপিসোডে অনেক কিছু তুলে ধরেছেন নাইট ক্যাপ্টেন। রাহানের কথায়, ছেলেবেলা থেকে পুষ্টি নিয়ে অত মাথা ঘামাতেন না। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি তাঁর প্যাশান বরাবরের। রাহানে বলেন, “বরাবর আমার ক্রিকেট পছন্দ ছিল। ভারতের নানা জায়গায় অনেকে ক্রিকেট খেলে। নিজেদের বিল্ডিংয়ে খেলে, কমপ্লেক্সে খেলে। আমিও ছেলেবেলায় তেমনই খেলতাম। পরে যখন আমি ক্রিকেট খেলতে মাঠে যেতাম, মন থেকে ভেতরে ভেতরে খুশি হতাম। ফলে ক্রিকেটের প্রতি প্যাশান শুরু থেকেই ছিল। ছেলেবেলায় ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি আমি ক্যারাটে করতাম। জুডো করতাম। জুডোর জন্য ক্রিকেটে অনেক সাহায্য পেয়েছিলাম আমি। ফলে ছেলেবেলা থেকেই আমার ফিটনেস ঠিক ছিল। পুষ্টিগত দিক থেকে আমি অতটা সিরিয়াস ছিলাম না। ছেলেবেলায় অত পুষ্টি নিয়ে ধারনাও সঠিক ছিল না। কীভাবে ঠিক পুষ্টি হবে, বুঝতাম না। তবে নিজে ফিট থাকার চেষ্টা করতাম। শারীরিক ও মানসিক দুই ভাবেই।”

একজন ক্রিকেটারের প্রোটিন, ফ্যাট কতটা খাওয়া প্রয়োজন? এ বিষয়ে একটা সময় বিন্দুমাত্র ধারনা ছিল না। পরবর্তীতে যত ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী হতে থাকেন, নানা স্তরে খেলতে শুরু করেন, সেই সময় এ বিষয়ে বাড়তি নজরও দিতে থাকেন রাহানে। এ নিয়ে তিনি বলেন, “ক্রিকেট খেলার শুরুর দিকে কখনও কত প্রোটিন, কত ফ্যাট খাচ্ছি এসব গুলো মাপতাম না। কারণ সেই সময় তো ধারনা ঠিক ছিল না যে, কী খাওয়া দরকার, কতটা পরিমাণ খাওয়া দরকার। যখন ক্রিকেট খেলতে থাকলাম, এক এক স্তরে এসে পৌঁছলাম, তখন বুঝতে শুরু করি যে আমাকে কোন সময় কী খেতে হবে। পরিমাণ কী হওয়া দরকার। নিজে ফিট থাকার জন্য কোন বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ, বুঝতে শিখি।”

এই খবরটিও পড়ুন

ফিট থাকার জন্য ওয়ার্ক আউট অত্যন্ত প্রয়োজন। তা নিয়ে রাহানে বলেন, “নিজের শরীর সম্পর্কে প্রথমে নিজেকে জানতে হবে। আমার জন্য সবচেয়ে প্রথমে যেটা জরুরি, তা হল রিকভারি। কারণ রিকভারিও ট্রেনিংয়ের মধ্যেই রয়েছে। গতি, শক্তি সবই গুরুত্বপূর্ণ। আর জিমে বেশ কিছু কোর এক্সারসাইজ করা প্রয়োজন। ফিট থাকার জন্য সকলের জন্য বলব, সময় পেলে ক্রাঞ্চ, সিঙ্গল লেগ স্কোয়াট, পুশ আপ এগুলো করতে পারেন। ২০, ৩০ মিনিট যদি নিজের শরীরকে সময় দিতে পারেন, তা হলে ভালো হবে। সঙ্গে সঙ্গে এর ফল দেখা না গেলেও ২-৩ মাসে ফল অবশ্যই দেখতে পাবেন।”

অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, রাহানে কী খান। সেই উত্তরও দিয়েছেন কেকেআরের ক্যাপ্টেন। তিনি বলেন, “আমার জন্য দিনের প্রথম মিল ব্রেকফাস্ট। সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তখন ডিম, ফল খাই। কফিও খাই। জুস খুব একটা খাই না। আমার মনে হয় তাজা ফল খাওয়া ভালো। লাঞ্চ অনেক সময় নির্ভর করে আমরা ম্যাচ খেলছি, নাকি খেলছি না। যদি আমরা ম্যাচ খেলি, তা হলে একটু বেশি কার্বোহাইড্রেট খেয়ে ফেলি। আর আমি আবার ম্যাচ না খেললে কার্বোহাইড্রেট কম খাই। খাদ্যতালিকায় প্রোটিনও থাকে। আইপিএল চলাকালীন খাওয়ার সময় বদলে যায়। তখন রাতের খাবার খেতে মাঝে মাঝে দেরি হয়ে যায়। তাই নিজেই নিজেকে বলি, রাতে ঘুমোনোর আগে বেশ কিছুটা প্রোটিন বেশি খেতে হবে। যদি ম্যাচ না থাকে, তা হলে রাতে হালকা খাবার খাই।”

কোহলির মতো নন রাহানে। নিরামিষ খাবার ডায়েট চার্ট থেকে বাদ দেননি তিনি। রাহানের কথায়, “আমি নন-ভেজ খাবার খাই। প্রোটিন সেখান থেকে পেয়ে যাই। ভেজের মধ্যে ডাল, পনির থেকে প্রোটিন পেয়ে যাই। তবে আমি এমন নই যে শুধুই আমিষ খাবারই খাব। বাড়িতে আমি বেশিরভাগ সময় নিরামিষ খাবার খাই। কারণ সারা বছর ধরে আমরা নানা জায়গায় সফর করি। তাই সফরের সময় মাঝে মাঝে বাইরে প্রায়শই আমিষ খাবার খাওয়া হয়ে যায়।”