Mohammed Shami: মুস্তাক আলির পর অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন মহম্মদ সামি, খেলবেন?
ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে সামি নিজেকে আবার প্রমাণ করছেন। অস্ট্রেলিয়া সফরে তাঁকে কি দেখা যাবে? এই প্রশ্নের যে উত্তর মিলছে, তা কিন্তু কিছুটা হতাশ করার মতো। কেন?
কলকাতা: ৩৬০ দিন পর ক্রিকেটে ফিরেছেন। ভারতীয় টিমে প্রত্যাবর্তন যদি ধরতে হয়, এক বছর নয়, অপেক্ষার মেয়াদ দেড় বছরও হতে পারে। সেদিকেই গড়াচ্ছে মহম্মদ সামির (Mohammed Shami) পরিস্থিতি। প্রথমে ভাবা হয়েছিল, ঘরের মাঠে ২টো হোম সিরিজের কোনও একটাতে সামির প্রত্যাবর্তন হবে, কিন্তু তা হয়নি। পায়ের চোট সারলেও দ্বিতীয় দফায় হাঁটুর চোটে পড়েছিলেন। যে কারণে ফিট হতে প্রায় ১ বছর সময় লেগেছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের সময়ই বলা হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলে অন্তর্ভূক্তি হবে সামির। কিন্তু নির্বাচকরা বুমরা-সিরাজেই ভরসা রেখেছেন। দ্বিতীয় সারির বোলার হিসেবে হর্ষিত রানা, আকাশ দীপ, নীতীশ রেড্ডি, মুকেশ কুমারদের উপরই ফোকাস করা হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে সামি নিজেকে আবার প্রমাণ করছেন। অস্ট্রেলিয়া সফরে তাঁকে কি দেখা যাবে? এই প্রশ্নের যে উত্তর মিলছে, তা কিন্তু কিছুটা হতাশ করার মতো। কেন?
বোর্ড, নির্বাচক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের যা ভাবনা অস্ট্রেলিয়া সফরে পেস বোলিং বিভাগে তেমন কোনও বদলের সম্ভবনা নেই। বুমরা-সিরাজ-হর্ষিত-নীতীশরা যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করছেন। পারথ টেস্টে জয় ভারতীয় পেস ইউনিটের আত্মবিশ্বাস এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটা। অ্যাডিলেড, গাব্বা, মেলবোর্ন, সিডনি অন্য ভেনুতেও বুমরারাই সাফল্য দিতে পারেন। তাই প্রশ্ন, সামিকে নিয়ে কেন অকারণ ঝুঁকি নেওয়া হবে? মুস্তাক আলিতে সামি যতই ভালো বোলিং করুন, ফিটনেস মার্ক পার করছেন কিনা, সেদিকেই নজর বোর্ডের ক্রীড়াবিজ্ঞানী নীতীন প্যাটেল ও এনসিএর ট্রেনার নিশান্ত বরদলুইের। ওজন কমাতে হবে তাঁকে। যদি ফিটনেস টেস্টে পাস করেন সামি, তা হলে তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হতে পারে। তবে টেস্ট খেলতে দেখা যাবে না সামিকে। তাঁকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর একটাই যুক্তি। ভারতীয় টিমের সঙ্গে প্র্যাক্টিস করলে দ্রুত ছন্দ ফিরে পাবেন। সেই সঙ্গে ভারতীয় টিমের পরিবেশ তাঁকে দ্রুত আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
এই খবরটিও পড়ুন
মহম্মদ সামি কবে নাগাদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন? বোর্ড ও নির্বাচকদের যা ভাবনা, তাতে সামিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তুলে রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর আবার ওয়ান ডে দিয়েই প্রত্যাবর্তন হবে সামির। এই ভাবনার কারণ কী? সামির বয়স, চোট প্রবণতা, আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, আইপিএল এ সব মাথায় থাকছে নির্বাচকদের। যে কারণে বাংলার সিনিয়র পেস বোলারকে বেশি ওয়ার্কলোড দিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট। বড় ম্যাচের জন্য তুলে রাথা হবে সামিকে। প্রশ্ন কি একটা থেকে যাচ্ছে তাও? বোধহয়। সামি কি ৫ দিনের টেস্ট খেলার ধকল আর নিতে পারবেন?