India Tour of South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে ভয়ঙ্কর হতে পারেন বুমরা, মত প্রোটিয়া ক্যাপ্টেনের
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে থাকা ভারতের বিরুদ্ধের বিরুদ্ধে যে ঘরের মাঠে সিরিজ জেতা সহজ হবে না, তা মেনে নিচ্ছেন ক্যাপ্টেন এলগার (Dean Elgar)।
জোহানেসবার্গ: জশপ্রীত বুমকাকেই (Jasprit Bumrah) যত ভয় দক্ষিণ আফ্রিকার! ২৬ ডিসেম্বর ঘরের মাঠে বিরাট কোহলির ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলতে নামছে ডিন এলগারের টিম। ক্রিকেটের মূলস্রোতে ফেরার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে ক্রিকেট সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের ৩০ বছর পূর্তি হতে চলেছে। কিন্তু এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকা বেশ কোণঠাসা। একে বর্ণবিদ্বেষ বিতর্কে ফালাফালা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট। ক্রিকেট ডিরেক্টর গ্রেম স্মিথ ও জাতীয় টিমের কোচ মার্ক বাউচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বোর্ড। তার উপর আবার চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছেন অনরিখ নর্টজে। এই পরিস্থিতিতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে থাকা ভারতের বিরুদ্ধের বিরুদ্ধে যে ঘরের মাঠে সিরিজ জেতা সহজ হবে না, তা মেনে নিচ্ছেন ক্যাপ্টেন এলগার (Dean Elgar)।
প্রায় ছ’মাস লাল বলে ক্রিকেট খেলেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের বিরুদ্ধে হোম সিরিজের জন্য প্র্যাক্টিস শুরু করেছেন কাগিসো রাবাডা, কুইন্টন ডি’ককরা। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়া প্রোটিয়া অধিনায়কের স্পষ্ট কথা, ‘প্লেয়ার হিসেবে আমাদের নানা সময় নানা খবর শুনতে হয়। সেগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে করতে এগোতে হয়। পরিস্থিতি যতই জটিল হোক না কেন, তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা আমাদের কাজ। সব ভুলে আমাদের ভারতের মতো কঠিন টিমের বিরুদ্ধে ফোকাস করতে হবে। আশা করি, ক্রিকেটও আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকাবে।’
তারই মাঝে তিনি বলে রাখছেন, ভারতের পেসাররাও চ্যালেঞ্জ দিতে পারেন তাঁর টিমকে। এলগারের কথায়, ‘বুমরা বিশ্বমানের বোলার। ভারতীয় টিমে যদি কোনও বোলার দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনকে দারুণ কাজে লাগাতে পারে, সেটা একমাত্র বুমরা। এটা আমরা খুব ভালো করে জানি।’
ভারতীয় টিম কখনও দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জেতেনি। রাহুল দ্রাবিড়ের টিম সেই স্বপ্নপূরণ করার জন্যই এ বার প্রোটিয়া সফরে গিয়েছে। ধারে-ভারে-গভীরতায় এলগারের টিমের থেকে অনেকটাই যে এগিয়ে, সন্দেহ নেই। কিন্তু রাবাডাদের আগুনে পেস বোলিং সামলাতে হবে বিরাটদের, তাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন বিপক্ষ অধিনায়ক। দুই টিমের পেসারদের লড়াই এই সিরিজের ক্যাচ লাইন হতে চলেছে। এগলারের মন্তব্য, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের কথাই যদি ওঠে, তা হলে বলব, আমরা এই পরিবেশেই খেলে অভ্যস্ত। আমরা কী ভাবে খেলব, তা খুব ভালো করে জানি। কিন্তু ভারতীয় টিমকেও মাথায় রাখতে হবে যে, ওদের ব্যাটারদের কিন্তু আমাদের পেসারদের সামলাতে হবে।’
ঘরের মাঠে দারুণ ছন্দে ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি কি দুশ্চিন্তা বাড়াতে পারেন? দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে আবার খুব একটা সফল নন ভারতীয় অফস্পিনার। যা নিয়ে এলগার বলছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় অশ্বিন খুব একটা সফল নয়। এটা আমাদের পক্ষে ভালো দিক। ভারতের মাটিতে আমাদের বিরুদ্ধে ওর সাফল্য দিয়ে কিন্তু এই সিরিজকে ব্যাখ্যা করা যাবে না। কারণ, ওকে খেলতে হবে আমাদের কন্ডিশনে।’