চুক্তি জট অব্যাহত, ক্লাব-ইনভেস্টর দ্বন্দ্ব চলছেই
চুক্তি জট ইস্যুতে আর ক্লাবের পাশেও নেই প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি ১১ জনের কোর কমিটি।
কলকাতা: সমস্যা যে তিমিরে ছিল, সেখানেই থাকল। চুক্তি জট অব্যাহত। চুক্তি জট ইস্যুতে আর ক্লাবের পাশেও নেই প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি ১১ জনের কোর কমিটি। ক্লাবের সমস্যা ক্লাবকেই মেটাতে বললেন প্রাক্তনীরা।
সোমবার ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবের তরফ থেকে বলা হয়, গত শনিবার তাদের কাছে মূল চুক্তিপত্র পাঠায় বিনিয়োগকারী সংস্থা। যে ৭টি বিষয়ে নমনীয় হওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল ইনভেস্টর (Investor) তার কোনওটাই দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ একই চুক্তিপত্র ফের ক্লাবকে পাঠায় ইনভেস্টর। এমনই দাবি ক্লাবের।
ইনভেস্টরের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘সংশোধিত চুক্তিপত্রই পাঠানো হয়েছে ক্লাবকে। যে ৭টা ইস্যুতে শিথিলতা আনার অনুরোধ রেখেছিল ক্লাব, তা সবটাই রয়েছে সেই চুক্তিপত্রে। ওরা তো আগেও বলেছিল, টার্মশিট আর মূল চুক্তিপত্রে ফারাক আছে। কোথায় সংশোধন আনা হয়েছে তা ক্লাব আমাদের জিজ্ঞাসা করলে দেখিয়েও দেব। এমনকি চুক্তিপত্রে কোথায় কোথায় সংশোধন আনা হয়েছে সেটাও উল্লেখ করা আছে।’
ঐক্যমতে পৌঁছে যদি সংশোধিত চুক্তিপত্র পাঠায় ইনভেস্টর, তা হলে কি ক্লাব সই করবে? এখানেও ধোঁয়াশা রয়ে গেল। ক্লাবের বক্তব্য, ‘ওই সংশোধিত চুক্তিপত্র আগে আমাদের পাঠাক। এ ছাড়া আরও একটা-দুটো বিষয় নিয়ে ইনভেস্টরের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই। সংশোধিত চুক্তিপত্র পাঠানোর জন্য ইনভেস্টরকে চিঠি পাঠাব।’
ইনভেস্টরের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘ওই ৭টা ইস্যুর বাইরে আর একটা বিষয়েও কোনও পরিবর্তন আনা হয়নি আর হবেও না।’ শ্রী সিমেন্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হরিমোহন বাঙ্গুর এখন শহরে। তিনি এই বিষয়ে মুখ খোলেননি।
প্রাক্তন ফুটবলারদের কোর কমিটি এ দিন ফের ক্লাবে বৈঠকে বসে। আসেননি মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। কোর কমিটির বক্তব্য, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি এখন ব্যস্ত। ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তিনিও এখন সময় দিতে পারবেন না। ইনভেস্টরও আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নয়। আমরা ক্লাবকে জানিয়েছি, ফুটবল খেলার জন্য এখন যা যা করণীয় তা ক্লাব করুক। কারণ এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল দরকার।’
অর্থাৎ চুক্তি জট ইস্যুতে ১১ জনের কোর কমিটিও হাত তুলে নিল। এ দিকে পিণ্টু মাহাতো, আভাস থাপা, রক্ষিত ডাগারদের বকেয়া অর্থ এখনও মেটায়নি ক্লাব। প্রায় ৯ লক্ষ টাকা দিতে হবে ক্লাবকে। না হলে ট্রান্সফার ব্যান উঠবে না।
আরও পড়ুন: EAST BENGAL CONTROVERSY : ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের ‘অপেশাদার’ বললেন বাইচুং