World Cup: ২ বছর অন্তর বিশ্বকাপ ভাবনায় সায় নেই ইপিএল আয়োজনদের
নভেম্বরে বিশ্বকাপ হলে অন্তত দু'সপ্তাহ আগে বিভিন্ন দেশ শিবির শুরু করে দেবে। ১৮ ডিসম্বর বিশ্বকাপ ফাইনাল। তারপর আবার লিগ শুরু করলেও ক্রিসমাস ছুটি থাকবে। ফলে, ইপিএল আবার পূর্ণ গতিতে শুরু হতে হতে সেই জানুয়ারি মাস। যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ইপিএল আয়োজকদের।
লন্ডন: এই প্রথম শীতকালীন বিশ্বকাপ (World Cup) আয়োজন করতে চলেছে ফিফা (FIFA)। কাতারের গরমের কথা ভেবে আগামী বছর নভেম্বরে হবে ফুটবল শো। আর তাতেই ব্যাপক চাপে পড়তে চলেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ (EPL)। ঘরোয়া লিগের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী বছর ৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়ার কথা ইপিএলের। নভেম্বরে বিশ্বকাপ থাকলে পুরো লিগ শেষ করা যাবে কিনা, তা নিয়েই সংশয়ে পড়েছেন ইংলিশ ফুটবল ফেডারেশন।
নভেম্বরে বিশ্বকাপ হলে অন্তত দু’সপ্তাহ আগে বিভিন্ন দেশ শিবির শুরু করে দেবে। ১৮ ডিসম্বর বিশ্বকাপ ফাইনাল। তারপর আবার লিগ শুরু করলেও ক্রিসমাস ছুটি থাকবে। ফলে, ইপিএল আবার পূর্ণ গতিতে শুরু হতে হতে সেই জানুয়ারি মাস। যা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে ইপিএল আয়োজকদের। শুধু ইপিএল নয়, ইউরোপে ওই সময় রমরমিয়ে চলে লিগ। স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশগুলোর লিগের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। আর তাই যদি ধরতে হয়, লিগ শেষ হতে ২০২৩ সালের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাবে। ফলে পরের মরসুমের লিগও কিছুটা হলেও ধাক্কা খাবে।
এর মধ্যে আবার ফিফার দু’বছর অন্তর বিশ্বকাপ করার ভাবনা চাপে রেখেছে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোকে। ইউরোপের নানা দেশের লিগ ঘিরে উন্মাদনা সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য মহাদেশের লিগ ততটা জনপ্রিয় নয়। ফলে লাতিন আমেরিকা, এশিয়ার মতো মহাদেশগুলোর লিগ নিয়ে তেমন চাপ নেই বলে ওই সব অঞ্চলের ফুটবল ফেডারেশনগুলো ২ বছর অন্তর বিশ্বকাপ করার ভাবনায় কার্যত সায় দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু জোরালো আপত্তি তুলেছে ইংল্যান্ডের ফুটবল সংস্থা।
প্রিমিয়ার লিগের চিফ এক্সিকিউটিভ রিচার্ড মাস্টার্স বলেছেন, ‘২০২৪ সালের পর কোনও রকম পরিবর্তন মেনে নেওয়া প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের বিরুদ্ধে যাবে। এমনিতেই ফিফার আন্তর্জাতিক ম্যাচ ক্যালেন্ডারের কারণে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। নতুন যে কোনও কিছুকে গ্রহণ করার জন্য আমরা তৈরি। কিন্তু তাতে ভারসাম্য থাকতে হবে।’
২ বছর অন্তর বিশ্বকাপ আয়োজন করার ক্ষেত্রে ফিফার যুক্তি, খেলাটাকে আরও বেশি বানিজ্যিক করে তোলা। যাতে ফুটবলার থেকে শুরু করে এর সঙ্গে জুড়ে থাকা সবাইকে আর্থিক সুরক্ষা দেওয়া যায়। কিন্তু রিচার্ড বলছেন, ‘একটা নিরাপদ চুক্তি হতে হবে। যাতে ফুটবলের ভবিষ্যৎকে নিশ্চিত করা যায়।’