Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Qatar World Cup 2022: উন্নতমানের প্রযুক্তির সাহায্যে সেজে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী খলিফা স্টেডিয়াম

ঐতিহ্যবাহী খলিফা স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকতে চলেছে ফুটবল বিশ্বকাপেরও।

Qatar World Cup 2022: উন্নতমানের প্রযুক্তির সাহায্যে সেজে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী খলিফা স্টেডিয়াম
উন্নতমানের প্রযুক্তির সাহায্যে সেজে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী খলিফা স্টেডিয়ামImage Credit source: গ্রাফিক্স: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2022 | 7:00 PM

সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্তী

কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে কাতার বিশ্বকাপের (Qatar World Cup 2022)। জুন-জুলাইয়ে নয়, ধারা বদলে এ বার বিশ্বকাপ হতে চলেছে শীতকাতুরে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে কাতারে ফুটবলের এই মেগা ইভেন্ট। আর যা নিয়ে আগ্রহ কম নেই আপামর ফুটবলপ্রেমীর। ২১ নভেম্বর কাতার বিশ্বকাপের মেগা রিলিজ। মোট ৮টা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে মহাযজ্ঞ। তারই একটি খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম (Khalifa International Stadium)। এই স্টেডিয়াম কেমন দেখতে? কী ভাবে তৈরি হল? এমন নানা চমকে দেওয়া গল্প নিয়ে TV9Bangla-তে আজ সপ্তম কিস্তি।

খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি কাতার বিশ্বকাপের জন্য এক্কেবারে নতুন করে তৈরি করা নয়। এই স্টেডিয়ামটি বহু ঐতিহাসিক ম্যাচের সাক্ষী। খলিফা স্টেডিয়াম জাতীয় স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। কাতারের প্রাক্তন আমির খলিফা বিন হামাদ আল সানির নামে এই স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়েছে। দোহা স্পোর্টস সিটি কমপ্লেক্সের অংশ এই স্টেডিয়ামটি। ২০১৭ সালের মে মাসে এই স্টেডিয়ামটির পুনরায় সাজানো হয় আসন্ন কাতার বিশ্বকাপের জন্য। সেই সময় এই স্টেডিয়ামের দর্শক আসন সংখ্যা ৬৮ হাজার করার কথা হয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০ হাজার দর্শক আসন সংখ্যাটা বাড়িয়ে ৪০ হাজার করে দেওয়া হয়।

know all About Khalifa International Stadium

এই স্টেডিয়ামটি বহু ঐতিহাসিক ম্যাচের সাক্ষী

  • নাম : খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম
  • দর্শক আসন সংখ্যা : ৪০ হাজার
  • কটি ম্যাচ হবে এই স্টেডিয়ামে : ৮টি

এই স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। ১৯৯২ সালে গাল্ফ কাপে এই স্টেডিয়ামেই প্রথম বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কাতার। ২০০৬ সালের এশিয়ান গেমসের জন্য ২০০৫ সালে এই স্টেডিয়ামটির সংস্করণ করা হয়েছিল এবং স্টেডিয়ামটিকে বড়ও করা হয়েছিল। ২০১১ সালের এএফসি এশিয়ান কাপের বেশ কিছু ম্যাচের, ২০১৯ সালের বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ, ফিফা ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের ভেনুও ছিল এই স্টেডিয়াম। এ বার এই ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকতে চলেছে ফুটবল বিশ্বকাপেরও। খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এক সঙ্গে মোট ৪০ হাজার দর্শক ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন। খলিফা স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের ৬টি, রাউন্ড অব-১৬-র একটি এবং একটি প্লে অফের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ছাদে সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা স্টেডিয়াম ঠান্ডা করতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। যদিও ঠান্ডা রাখার বেশিরভাগ ব্যবস্থাই অত্যাধুনিক, এবং অত্যন্ত খরচসাপেক্ষ এক ধরনের যন্ত্রের মাধ্যমে এটি করা হয়। এই যন্ত্রের নাম ‘অ্যাবজর্বসন চিলার’। গরম হাওয়া শুষে নেয় এই যন্ত্র। খানিকটা কুলারের মতো কাজ করে। আসলে জল ও সূর্যের তাপের মাধ্যমে এই যন্ত্র প্রথমে জলকে ঠান্ডা করে। তারপর সেই ঠান্ডা জল বাতাসকে ঠান্ডা করে দেয়। ওই ঠান্ডা বাতাসই তারপর বড় বড় পাখার মাধ্যমে মাঠকে ঠান্ডা রাখে।