Lionel Messi : তাইওয়ান কি চিন নয়? মেসির সরল প্রশ্নে কথা হারাল বর্ডার পুলিশ
ফিফা ফ্রেন্ডলিতে খেলার জন্য জাতীয় দলে সতীর্থ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, ব্যক্তিগত দেহরক্ষী এবং কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে প্রাইভেট জেটে বেজিং পৌঁছন মেসি। আজ, বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া।
বেজিং: আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতে চিন গিয়েছেন। অথচ তাঁর কাছে রয়েছে স্প্যানিশ পাসপোর্ট! চিন গিয়ে বিমানবন্দরে লিওনেল মেসির (Lionel Messi) দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার খবর এখন আর নতুন নয়। পাসপোর্ট বিভ্রাটের কারণে মেসির চিনের ভিসা পেতে দেরি হয়। যে কারণে ঘণ্টা দুয়েকের মতো সেখানেই আটকে থাকতে হয় তাঁকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মেসিকে ঘিরে রয়েছে প্রচুর পুলিশ আধিকারিক। পাসপোর্ট সমস্যায় তাঁকে আটকায় বর্ডার কন্ট্রোল পুলিশ। ভিডিয়োতে মেসি ও পুলিশ আধিকারিকদের কথা বলতে শোনা গিয়েছে। স্প্যানিশেই কথা হচ্ছিল। তখন জানা না গেলেও মেসি ও পুলিশের মধ্যে কী কথোপকথন হচ্ছিল প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। চিনের (China) বর্ডার পুলিশকে মেসি খুব সরল মনে একটি প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্ন শুনে রীতিমতো তাজ্জব হয়ে যান পুলিশ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আর্জেন্টাইন মহাতারকার প্রশ্ন শুনে জবাব হারান পুলিশরা। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
ফিফা ফ্রেন্ডলিতে খেলার জন্য জাতীয় দলে সতীর্থ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, ব্যক্তিগত দেহরক্ষী এবং কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে প্রাইভেট জেটে বেজিং পৌঁছন মেসি। আজ, বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধেও একটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। মেসি বেজিং পৌঁছনোর পর সেখানে তাঁর পাসপোর্ট নিয়ে কনফিউশন তৈরি হয়। চিনে কেন স্প্যানিশ পাসপোর্ট নিয়ে গিয়েছেন তা বোধগম্য হচ্ছিল না। মেসির সঙ্গে কথা বলার পর সমস্যার জড় খুঁজে পায় বর্ডার পুলিশ। লিও সরল মনেই জিজ্ঞাসা করেন, “আচ্ছা তাইওয়ান কি চিন নয়?” প্রশ্ন শুনে অবাক হয়ে যায় পুলিশ। তাঁর প্রশ্নের কারণ হল, স্প্যানিশ পাসপোর্টধারী বিনা ভিসায় তাইওয়ান আসতে যেতে পারবেন। মেসি সেটা জানতেন। একইসঙ্গে তাঁর ধারণা ছিল তাইওয়ান ও চিন একটাই দেশ। তাই স্প্যানিশ পাসপোর্ট নিয়ে সানন্দে চিন চলে যান! মেসির প্রশ্ন শুনে চিনা পুলিশ কী উত্তর দিয়েছে তা জানা নেই। তবে দু ঘণ্টার মধ্যে মেসি পাসপোর্ট পেয়ে গিয়েছিলেন।
তাইওয়ান-চিন বিবাদ
তাইওয়ান ও চিনের বিবাদ পুরনো। তাইওয়ান কি চিনের অংশ নাকি চিন থেকে আলাদা তা নিয়ে শুধু মেসিই নন, প্রচুর মানুষেরও বিভ্রান্তি রয়েছে। বিষয়টি হল, চিন মনে করে তাইওয়ান তাদেরই ভূখণ্ডের একটা অংশ। অন্যদিকে চিনের দক্ষিণ পূর্ব অংশের দ্বীপ তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন দেশ বলে ভাবে। আলাদা সংবিধান, জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার রয়েছে। যা চিনের অংশ নয়।