স্পিনিং ট্র্যাকে ২ দিনে ম্যাচ শেষ বলেই এত সমালোচনা: বিরাট
কাল থেকে শুরু হচ্ছে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে ভাবনা চিন্তা যেমন চলছে, তেমনই জো রুটের টিমের বিরুদ্ধে জয়ের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে ভারত।
আমদাবাদ: যদি সিমিং ট্র্যাক হত, তা হলে হয়তো মোতেরা (Motera) নিয়ে এত সমালোচনা হত না। বক্তার নাম বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। আমদাবাদের পিচ নিয়ে যখন তীব্র আলোচনা, ঠিক তখনই জ্বলে উঠেছেন ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন।
কাল থেকে শুরু হচ্ছে সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিয়ে ভাবনা চিন্তা যেমন চলছে, তেমনই জো রুটের টিমের বিরুদ্ধে জয়ের পরিকল্পনা সাজাচ্ছে ভারত। তার আগে বিরাট বলেছেন, ‘আমি বরাবর দেখেছি, স্পিনিং ট্র্যাক নিয়েই যত কথা হয়। একটা টেস্ট ম্যাচ যদি চার-পাঁচ দিনে শেষ হয়, কেউ এ নিয়ে কোনও কথা বলবে না। কিন্তু দু-তিনদিনে শেষ হলেই নানা লোকে নানা মন্তব্য করবে।’
আরও পড়ুন: অলিম্পিকে বিদেশি দর্শকদের নো এন্ট্রি !
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটা টেস্ট ম্যাচের উদাহরণ তুলে ধরেছেন ভারতের ক্যাপ্টেন। বিরাটের কথায়, ‘নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমরা তৃতীয় মাত্র ৩৬ ওভার খেলেছিলাম। কই, কেউ তো এ নিয়ে কিছু লেখেনি। কোনও টিম যদি সিমিং উইকেটে ৪০-৫০-এ অল আউট হয়ে যায়, আলোচনা হবে না পিচ নিয়ে। স্পিনিং ট্র্যাকে যদি সেটা হয়, তা কিন্তু ব্যাপক আলোচনা হবে।’
? “Unfortunate that there’s too much noise about spinning tracks.”
Ahead of the fourth @Paytm #INDvENG Test, #TeamIndia skipper @imVkohli weighs in on the discussion about pitches. pic.twitter.com/tcra6nj5Ys
— BCCI (@BCCI) March 3, 2021
মোতেরার পিচের মতোই আলোচনার বিষয় ব্যাটসম্যান ভিকে-ও। এক বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেল তাঁর ব্যাটে সেঞ্চুরি নেই। যা নিয়ে বিরাট বলছেন, ‘সেঞ্চুরি পাচ্ছি না বলে আমার কোনও বাড়তি ভাবনা নেই। কারণ, খুব ভালো করেই জানি ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। লোকে এইসব ব্যক্তিগত কৃতিত্ব নিয়ে বেশি আলোচনা করে। টিম যদি ভালো পারফর্ম না করে, ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে কথা হবে। টিম যদি ভালো করে তখন বলা হবে, ব্যাটসম্যান রান পাচ্ছে না। ব্যাটসম্যান হিসেবে, ক্যাপ্টেন হিসেবে আমি আমার কাজগুলো কী কী, ভালো করেই জানি। সেটা করতে করতে যদি কোনও মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলে, ভালো লাগবে।’
আরও পড়ুন: আইপিএল নিয়ে সমালোচনা করে ক্ষমা চাইলেন ডেল স্টেন
বিরাটের মনে হচ্ছে, জৈব সুরক্ষায় দিনের পর দিন থাকা টিমের জন্যই রোটেশন পদ্ধতি চালু করা উচিত। তাতে যে কোনও ক্রিকেটার নিজের সেরাটা দিতে পারবে। ‘বায়ো বাবলে থাকা টিমগুলোকে এই পদ্ধতি মেনে চলাই উচিত। এই পরিস্থিতিতে দিনের পর দিন থাকা খুব কঠিন, বিরক্তিকরও। রোটেশন চালু করা উচিত। তবে, এই রোটেশন থাকলে সবার পক্ষেই ভালো। কেউই সারা বছর সমস্ত ম্যাচ খেলতে পারে না।