TOKYO OLYMPICS 2020 : অলিম্পিকের সোনাজয়ীকে হারিয়ে নজির বাংলার অতনুর

অতনু দাসের বাবা অমিত দাসের সহাস্য মন্তব্য, "মিক্সড ইভেন্টে কয়েকটা পয়েন্টের ফারাকের জন্য জুটি বাঁধতে পারেননি অতনু-দীপিকা। তাই মন দুজনেরই খারাপ ছিল। সেটা যেন ব্যক্তিগত ইভেন্টে পুষিয়ে দিচ্ছেন অতনু ও দীপিকা।"

TOKYO OLYMPICS 2020 : অলিম্পিকের সোনাজয়ীকে হারিয়ে নজির বাংলার অতনুর
জয়ের পর অতনু। ডানদিকে শট অফ পয়েন্টের সেই মুহূর্ত
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2021 | 8:58 AM

টোকিওঃ প্রতিপক্ষ দঃ কোরিয়া। বিশ্বের ১ নম্বর দল। আর দ্বিতীয় রাউন্ডে যিনি প্রতিপক্ষ ছিলেন সেই ও ঝিন-হেইক আবার চলতি অলিম্পিকেই দলগত ইভেন্টে সোনাজয়ের স্বাদ পেয়েছেন। শুধু তাই নয় টোকিও অলিম্পিকেও তিনি ছিলেন সোনাজয়ী। তাঁকে হারিয়ে এবার প্রিকোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কেটে নিলেন বাংলার অতনু দাস। ৬-৫ ফলে হারিয়ে শেষ ১৬য় বাংলার অতনু।

এদিন চিনা তাইপেকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট কাটেন অতনু। পুরুষদের ব্যক্তিগত ইভেন্টে এখন অতনুই ভরসা ভারতের। চিনা তাইপের ইউ চেং ডেংকে ৬-৪ ফলে হারায় অতনু। পরের রাউন্ডেই তার প্রতিপক্ষ সোনাজয়ী ঝিন হেইক। কোরিয়ার এই তীরন্দাজ লন্ডন অলিম্পিকে সোনাজয়ী। এই অলিম্পিকেও দলগত ইভেন্টে সোনাজয়ের স্বাদ পেয়েছেন। শুধু তাই নয় তিনি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেও  চ্যাম্পিয়ন। ফলে নিঃসন্দেহে কঠিন প্রতিপক্ষ।

দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ শুরুতে অতনুর আত্মবিশ্বাস ছিল চোখে পড়ার মত। প্রথম রাউন্ডে ২৫-২৬ ফলে হেরে যান অতনু। তবে লড়াই ছিল সেয়ানে সেয়ানে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাউন্ড টাই হয়। চতুর্থ রাউন্ডে অতনু ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। ২৭-২২ ফলে কার্যত প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেন অতনু। পঞ্চম রাউন্ডে ফের টাই। ম্যাচ গড়ায় শট অফ পয়েন্টে। সেখানেই বাজিমাত অতনুর।

সোনাজয়ী ঝিন-হেইক শট অফ পয়েন্টে স্কোর করেন ৯। অতনু স্কোর করেন ১০। আর সেই সঙ্গে গড়লেন নজির। অলিম্পিকের মঞ্চে অলিম্পিকের সোনাজয়ীকে হারিয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়া, এতো ভারতীয় তীরন্দাজিতে সাম্প্রতীককালে নজিরবিহীন। বাংলার অতনু দাস সেটাই করে দেখালেন। বিশ্বের ১ নম্বর দলের তীরন্দাজকে হারানোর মজাই যে আলাদা। এদিন অতনুর ম্যাচচলাকালীন নাগাড়ে তাঁকে গ্যালারি থেকে চিয়ার আপ করছিলেন স্ত্রী দীপিকা কুমারি। যিনিও গতকাল পৌঁছেছেন মেয়েদের ব্যক্তিগত ইভেন্টের প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে।

অতনুর জয়ের পর বাবা অমিত দাসকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, ” কোরিয়ার মত দলকে হারানোর মজাই আলাদা। একদম আলাদা অনুভূতি।” বৌমা দীপিকার গ্যালারি থেকে চিয়ার আপ করা দেখে অতনু দাসের বাবা অমিত দাসের সহাস্য মন্তব্য, “মিক্সড ইভেন্টে কয়েকটা পয়েন্টের ফারাকের জন্য জুটি বাঁধতে পারেননি অতনু-দীপিকা। তাই মন দুজনেরই খারাপ ছিল। সেটা যেন ব্যক্তিগত ইভেন্টে পুষিয়ে দিচ্ছেন অতনু ও দীপিকা।”

                            অলিম্পিকের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০