TOKYO PARALYMPICS 2020: রুপোতে থামলেও ভাবিনার সাফল্যে টেবিল টেনিসে সূর্যোদয়
Bhavinaben Patel: কেরিয়ারের প্রথম প্যারালিম্পিকেই বাজিমাত। সোনা জয় থেকে এক ধাপ দূরে শেষ করলেও, ভাবিনা প্যাটেলের এই সাফল্যে ভারতীয় টেবিল টেনিস জগতে সূর্যোদয় হল।
টোকিও: গতকালই ইতিহাস গড়ে ফেলেছিলেন। আজ সোনা ছোঁয়ার স্বপ্নে নেমেছিলেন। সোনা জয়ের স্বপ্ন পূরণ না হলেও ভাবিনার (Bhavina Patel) এই কীর্তি ভারতীয় টেবিল টেনিসে নয়া মোড় এনে দিল। নীরজের (Neeraj Chopra) সোনায় যেমন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে ভারত নতুন দিশা খুঁজে পেয়েছে, তেমনই ভাবিনার রুপোতেও টেবিল টেনিসে নয়া দিশা দেখতে শুরু করেছে ভারত।
প্যারালিম্পিক্স (Paralympics) তো বটেই, এমনকি অলিম্পিকের (Tokyo Olympics 2020) আসরেও টেবিল টেনিসে ভারতের কোনও সাফল্য নেই। সেই খরাই কাটালেন ৩৪ বছরের ভাবিনাবেন প্যাটেল (Bhavinaben Patel)।
প্যারালিম্পিক অভিযানে যাঁর কাছে হেরেছিলেন, সেই চিনের ঝৌ জিংয়ের কাছেই ফাইনালে হারলেন স্ট্রেট গেমে। খেলার ফল ১১-৭, ১১-৫, ১১-৬। ১৯ মিনিটে খেলা শেষ করে দেন বিশ্বের এক নম্বর প্যাডলার। চিনের ঝৌ জিং ২০০৮ বেজিং এবং ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতেছেন। শুধু তাই নয়, ২০০৮, ২০১২ আর ২০১৬- টানা ৩টে অলিম্পিকেই দলগত বিভাগে সোনা জিতেছেন জিং। এ বারও ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতলেন ঝৌ। টেবিল টেনিসের ক্লাস ফোর ইভেন্টে রুপোয় থামলেন গুজরাতের ৩৪ বছরের ভাবিনা।
Bhavina wins #IND 1st Medal at #Tokyo2020 #Paralympics
Many congratulations to @Bhavina59068010 on winning?with her calm and brilliant performances ??
?? is proud of you!#Cheer4India #Praise4Para@PMOIndia @ianuragthakur @NisithPramanik @ParalympicIndia @DeepaAthlete pic.twitter.com/028jz7XjGF
— SAI Media (@Media_SAI) August 29, 2021
মাত্র ১২ মাস বয়সে পোলিওয় আক্রান্ত হয়েছিলেন ভাবিনাবেন। গুজরাতের মেহসানা জেলার মেয়ের পড়াশোনা সুন্ধিয়ার স্কুলে। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করতে আমদাবাদের আইটিআই কলেজে ভর্তি হন। সেখানেই প্রথম টেবিল টেনিসের সঙ্গে পরিচয় হয় ভাবিনার। বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ার রাস্তাটা মোটেই সহজ ছিল না। দুটো বাস আর দুটো অটো করে কলেজে পৌঁছতে হত ভাবিনাকে। সেই সঙ্গে আমদাবাদের ট্র্যাফিক জ্যাম ছিল নিত্যসঙ্গী। সেখানেই রাজ্য স্তরের অনূর্ধ্ব-১৯ এক ক্রিকেটারের সঙ্গে পরিচয় হয় ভাবিনার। যিনি এখন তাঁর স্বামী। ভাবিনার এই সাফল্যের পিছনে নিকুল প্যাটেলের অবদানও অনস্বীকার্য।
খেলাধূলার পাশাপাশি ভাবিনা পড়াশোনাতেও ছিলেন তুখোড়। সরকারি চাকুরিজীবী ভাবিনাবেন প্যাটেলের টেবিল টেনিসের ওপর ভালোবাসা এতটাই ছিল, যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও তিনি খেলা ছাড়েননি। স্বামী নিকুল প্যাটেল এখন নিজের ব্যবসা সামলান। তবে ভাবিনাকে নিয়েই এ দেশ, ও দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। নিজের খরচেই ইউরোপে ট্রেনিং এবং প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে যেতেন এই ভারতীয় প্যাডলার। হার না মানা জেদেই অবশেষে সাফল্য এসেছে। কেরিয়ারের প্রথম প্যারালিম্পিকেই বাজিমাত। সোনা জয় থেকে এক ধাপ দূরে শেষ করলেও, ভাবিনা প্যাটেলের এই সাফল্যে ভারতীয় টেবিল টেনিস জগতে সূর্যোদয় হল।
আরও পড়ুন: TOKYO PARALYMPICS 2020: নিজেকে কোনওদিন প্রতিবন্ধী ভাবিনি: ভাবিনা