PUBG India: নিষিদ্ধ গেম কীভাবে খেলছে বাচ্চারা? লখনউতে ভয়ঙ্কর পাবজি কাণ্ডের পর কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন শিশু সুরক্ষা কমিশনের
How PUBG Is Available In India: যে গেমটা এত ঘটা করে দেশে ব্যান করা হল, সেই গেমই আবার কীভাবে খেলছে কচিকাচারা? শুধু খেলছেই না, এমনই বুঁদ হয়ে থাকছে যে কেউ বাধা দিতে এলে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলছে তারা। এই প্রশ্নই এবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন তুলে দিল কেন্দ্রের আইটি মন্ত্রকের কাছে।
পাবজি (PUBG) ভারতে ব্যান করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও এ দেশে কীভাবে এই গেমটি খেলা সম্ভব? দিন কয়েক আগে লখনউতে (Lucknow) ভয়ঙ্কর একটি ঘটনা ঘটে যায়। ১৬ বছরের এক কিশোর পাবজি খেলছিল। আর তাকে বাধা দিতে আসে তারই মা। রাগের বশে ছেলেটি তার মাকে খুন করে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি পাঠায় জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। সেই চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়, ব্যান হওয়া পাবজি গেমটি এখনও কীভাবে খেলছে দেশের কিশোররা? উত্তর জানতে চেয়ে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের কাছে ১০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন বা NCPCR।
তবে শুধু কেন্দ্রের এই মন্ত্রককেই নয়। জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন পাবজি-সহ দেশে অন্যান্য গেমের স্টেটাস জানতে চেয়ে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কাছেও একটি চিঠি লিখেছে।
এদিকে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, লখনউয়ের ওই ১৬ বছরের কিশোর তার মাকে খুন করে একটি লাইসেন্সড পিস্তল দিয়ে। ওই পিস্তলটি আসলে ছেলেটার বাবার, যিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত। পুলিশ জানিয়েছে, ছেলেটি লখনউতে নিজেদের বাড়িতেই মায়ের মৃতদেহ তিন দিন ধরে রেখে দিয়েছিল রুম ফ্রেশনার ব্যবহার করে।
জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স ও আইটি মন্ত্রকের কাছে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছে, “ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, রাজ্যের নিরাপত্তা এবং জনশৃঙ্খলার স্বার্থে পাবজি ভারতে ব্যান করা হয়েছিল।”
কেন্দ্রের কাছে সোজা প্রশ্নচিহ্ন ছুঁড়ে দিয়ে কমিশন চিঠিতে লিখছে, “ভয়ঙ্কর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটা বিষয় কমিশনের বোধগম্যতার বাইরে যে, ভারত সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ গেমটি কীভাবে এখনও নাবালকদের ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ রয়েছে?” এই ধরনের ব্লক করা গেম বা অ্যাপ্লিকেশনগুলির প্রাপ্যতার কারণগুলিও কেন্দ্রের ওই বিশেষ মন্ত্রককে ব্যাখ্যা করতে বলেছে NCPCR।
এদিকে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নরীন্দর ধ্রুবের কাছে লেখা চিঠিতে NCPCR বলছে, একটি ই-স্পোর্ট হিসেবে পাবজি আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত হয়েছে এবং অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া থেকেও স্বীকৃতি পেয়েছে। এই প্রসঙ্গ তুলে দিয়ে কমিশন IOA-র কাছে জানতে চেয়েছে যে, পাবজি গেমটি তাদের কাছেও ই-স্পোর্ট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে কি না।
সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর কাছে NCPCR চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো বলেছেন, “আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছি যে, এই ধরনের গেমগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? যদি গেমটি দেশে ব্যানই করা হয়, তাহলে শিশুরা কীভাবে অ্যাক্সেস করছে এখনও? আমাদের কাছে এটি যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। যত দ্রুত সম্ভব এর মোকাবিলা করাও প্রয়োজন।”