Asteroid: ভয়ঙ্কর কাণ্ড! দু’দিন পরই স্ট্যাচু অফ লিবার্টির থেকেও বড় গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর বুকে
আমেরিকান স্পেস এজেন্সি NASA (ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৬ মে মধ্যরাত ২টো ৪৮ মিনিটে বিশালাকার ওই গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েড ৩৮৮৯৫ (২০০৮ TZ3) আমাদের গ্রহের কাছাকাছি আসবে।

বিশালাকার একটি গ্রহাণু (Asteroid) ধেয়ে আসছে পৃথিবীর বুকে, সতর্ক করলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। আমেরিকান স্পেস এজেন্সি NASA (ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৬ মে মধ্যরাত ২টো ৪৮ মিনিটে বিশালাকার ওই গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েড ৩৮৮৯৫ (২০০৮ TZ3) আমাদের গ্রহের কাছাকাছি আসবে। নাসার তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, গ্রহাণুটির প্রস্থ ১,৬০৮ ফুট। তুলনামূলক ভাবে, নিউইয়র্কের আইকনিক এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংটি দাঁড়িয়েছে ১,৪৫৪ ফুট প্রশস্ত। শুধু তাই নয়। এই গ্রহাণু আইফেল টাওয়ার এবং স্ট্যাচু অফ লিবার্টির থেকেও অনেকটা বড়।
যে কোনও গ্রহাণু এই পৃথিবীতে আঘাত করলে বিশাল ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু মহাকাশ বিজ্ঞানীদের হিসাব বলছে, এটি আমাদের প্রায় ২.৫ মিলিয়ন মাইল দূর থেকে অতিক্রম করবে। এই বিরাট দূরত্বে পৃথিবীর সেরকম ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর সেই কারণেই নাসা এটিকে “ক্লোজ অ্যাপ্রোচ” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এই প্রথমবার নয় যে, গ্রহাণু 388945 আমাদের পরিদর্শন করেছে। ২০২০ সালের মে মাসে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি প্রায় ১.৭ মিলিয়ন মাইল দূরত্বে চলে এসেছিল। এই মহাকাশ শিলা নিয়মিত ভাবে পৃথিবীর পাশ দিয়ে যায়। বিজ্ঞানীদের মতে, সেই হিসেবটা প্রায় প্রতি দুই বছর অন্তর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময়।
পরের বার এটি ২০২৪ সালের মে মাসে পৃথিবীর কাছাকাছি চলে যাবে। তবে সেবারও দুরত্ব হতে চলেছে অনেকটাই বেশি, প্রায় ৬.৯ মিলিয়ন মাইল। গ্রহাণুটি আবার ২১৬৩ সালের মে মাসে এই বারের মতো কাছাকাছি আসবে। যদি একটি গ্রহাণু ৪.৬৫ মিলিয়ন মাইলের মধ্যে আসে এবং একটি নির্দিষ্ট আকারের বেশি হয়, তাহলে সতর্কতার জন্য মহাকাশ সংস্থাগুলি “সম্ভাব্যভাবে বিপজ্জনক” হিসেবে গণ্য করে।
গ্রহাণুগুলি আশলে মহাকাশের ধ্বংসাবশেষ। একটি গ্রহের অবশেষ, যা আকারে বিশাল এবং মহাকাশে ঘুরতে থাকে। বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে সতর্ক করেছেন যে, কিছু গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক।
তাই, নাসা-সহ অনেক মহাকাশ সংস্থা এই সম্ভাব্য বিপজ্জনক গ্রহাণুগুলি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য একটি বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নাসা সম্প্রতি তার ডাবল গ্রহাণু পুনর্নির্দেশ পরীক্ষা বা ডাবল অ্যাস্টারয়েড রিডিরেকশন টেস্ট (DART) মিশন চালু করেছে।
এটির লক্ষ্য হল, ‘কাইনেটিক ইমপ্যাক্টের মাধ্যমে’ তার পথ থেকে পৃথিবীর দিকে অগ্রসর হওয়া এবং একটি গ্রহাণুকে বিচ্যুত করা। এর মানে হল যে, DART ক্রাফ্টটি গ্রহাণুর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করবে মূলত একটি লক্ষ্য নিয়ে সেটিকে সরানোর জন্য।





