Moon Craters: চাঁদের ‘কলঙ্কে’ মোহিত বিশ্ববাসী, কিন্তু চন্দ্রপৃষ্ঠের সেসব গর্তে পা রাখতেও কেন ভয় পান নভোচারীরা?

Latest Science News: সূর্যের আলো সেই গর্তে ঢুকতে পারে না। ফলে পৃথিবী থেকে যে চাঁদের আলো আমরা পাই, তাতে কালো দাগ থেকে যায়। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল, যতবার মহাকাশচারীরা চাঁদে পা রেখেছেন, ততবারই নতুন নতুন গর্ত আবিষ্কার করেছেন।

Moon Craters: চাঁদের 'কলঙ্কে' মোহিত বিশ্ববাসী, কিন্তু চন্দ্রপৃষ্ঠের সেসব গর্তে পা রাখতেও কেন ভয় পান নভোচারীরা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2023 | 7:20 PM

‘চাঁদের কলঙ্ক’, শব্দ দু’টি বহু মানুষের কাছেই চেনা। কথায় আছে চাঁদের গায়ে এমন কলঙ্ক না থাকলে না কি , তা দেখতে এত সুন্দর হত না। অনেকেই জানেন ‘চাঁদের কলঙ্ক’ বলতে তার মধ্যে থাকা বড় বড় গর্তগুলিকে বোঝায়। কিন্তু সেই গর্তগুলো সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। পৃথিবী ও চাঁদের পথ চলা প্রায় একই সঙ্গে শুরু হয়েছিল। প্রায় 450 মিলিয়ন বছর আগে যাত্রা শুরু করার পর, আজ পর্যন্ত, মহাকাশ থেকে আসা পাথর এবং উল্কা চাঁদের উপর পড়েছে। তাতে চাঁদের গায়ে বেশ বড় বড় গর্ত হয়েছে। সূর্যের আলো সেই গর্তে ঢুকতে পারে না। ফলে পৃথিবী থেকে যে চাঁদের আলো আমরা পাই, তাতে কালো দাগ থেকে যায়। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল, যতবার মহাকাশচারীরা চাঁদে পা রেখেছেন, ততবারই নতুন নতুন গর্ত আবিষ্কার করেছেন।

কিন্তু প্রশ্ন হল এত নতুন গর্ত আসে কোথা থেকে?

চাঁদে বায়ুর কোনও অস্থিত্ব নেই। এজন্য মহাশূন্য থেকে অনেক উল্কাপিণ্ড বা ছোট ছোট মহাজাগতিক পাথর চাঁদে সরাসরি আছড়ে পড়ে। এ ধরনের অনেক উল্কাপিণ্ড পৃথিবীর দিকেও আসে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এতটাই বেশি যে, ছোট উল্কাগুলি পৃথিবীর মাটি পর্যন্ত আসতে পারে না। তার আগেই বায়ুর সঙ্গে সংঘর্ষে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসব পাথর ও উল্কাপিণ্ডের কারণে চাঁদে গর্ত তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত 180টি গর্ত আবিষ্কৃত হয়েছে। চাঁদে প্রায় 14 লাখ গর্ত রয়েছে। চাঁদে সংখ্যটা এতটাই বেশি যে, বিজ্ঞানীরা যখনই চাঁদে যান, তখন নতুন নতুন গর্তের সন্ধান পান।

কিছু গর্ত রহস্যময়:

জানলে অবাক হবেন চাঁদে এমন কিছু গর্ত আছে, যেখানে বিজ্ঞানীরাও যেতে পারেননি। অনেকবার চেষ্টা করেও উদ্ধার হয়নি সেই সব গর্ত। কারণ কী? কয়েকটি গর্ত এতটাই অন্ধকার যে, সেখানে বিজ্ঞানীরা পা রেখেও ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। সংখ্যটা একেবারেই কম নয়! 9137টিরও বেশি গর্ত চিহ্নিত করা হয়েছে, যা নিয়ে নভোচারীরা গবেষনা করতে চেয়েও পারেননি। অর্থাৎ কীভাবে তার উৎপত্তি, বয়স কত, সব কিছুই অজানা থেকে গিয়েছে। অর্থাৎ অন্ধকারেই লুকিয়ে আছে যাবতীয় রহস্য।