Ingenuity-র তোলা মঙ্গলগ্রহের ছবিতে রোভার পারসিভের্যান্স কোথায়? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা
নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, একাদশতম উড়ানের সময় রোভার পারসিভের্যান্স থেকে মার্স হেলিকপ্টার ১৬০০ ফুট দূরে ছিল। এর পাশাপাশি ৩৯ ফুট উচ্চতা থেকে এই ছবি তোলা হয়েছে।
সম্প্রতি মঙ্গলগ্রহের একটি ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। মার্কিন স্পেস এজেন্সির ওই ছবি দেখে তাক লেগে গিয়েছে নেট দুনিয়ার। ওই ছবিতে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশের অনেকটা অংশ দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ছবি তুলেছে নাসার Ingenuity মার্স হেলিকপ্টার। মার্স হেলিকপ্টারের ১১তম ফ্লাইট বা উড়ানে এই ছবি তোলা হয়েছে। তবে লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশে রেগোলিথের আস্তরণ বেশ স্পষ্ট ভাবে বোঝা গেলেও একঝলক দেখলে মনে হবে এই ছবিতে নেই রোভার পারসিভের্যান্স। কিন্তু আসলে মার্স হেলিকপ্টারের তোলা লালগ্রহের এই ছবিতেই রয়েছে নাসার পাঠানো রোভার।
বিষয়টা আসলে কী?
নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, একাদশতম উড়ানের সময় রোভার পারসিভের্যান্স থেকে মার্স হেলিকপ্টার ১৬০০ ফুট দূরে ছিল। এর পাশাপাশি ৩৯ ফুট উচ্চতা থেকে এই ছবি তোলা হয়েছে। এত দূরত্বের কারণেই প্রাথমিক ভাবে নাসার শেয়ার করা ছবিতে প্রায় কেউই রোভারের উপস্থিতি ঠাহর করতে পারেননি। এর আগে মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশের একাধিক ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছে। তার বেশিরভাগটাতেই মঙ্গলগ্রহের বিভিন্ন ভূ-গাঠনিক ফিচার যেমন- বালিয়াড়ি, বোল্ডা, রুক্ষ পাথুরে আস্তরণ এইসব দেখা গিয়েছে। আপাতত মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে Jezero Crater- এর দক্ষিণ Séítah এলাকার ছবি তুলছে মার্স হেলিকপ্টার। সম্প্রতি যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে সেটা বেশ অনেকটা জুম করলে তবে রোভার পারসিভের্যান্সকে তার প্রথম অবস্থানে কাজ করতে দেখা যাবে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশ ছুঁয়েছিল রোভার পারসিভের্যান্স। এর মধ্যেই সুরক্ষিত অবস্থায় ছিল নাসার পাঠানো মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity। আপাতত মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করছেন রোভার পারসিভের্যান্স। ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত ৩০টি নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে মার্স রোভারের। সম্প্রতি অবশ্য জানা গিয়েছে, মঙ্গলগ্রহের মাটি খুঁড়ে পাথর সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল নাসার মার্স রোভার পারসিভের্যান্স। কিন্তু এই কাজে সফল হয়নি মার্স রোভার। মঙ্গলগ্রহে আগে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না, তা জানার জন্য এই পাথর সংগ্রহ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজ। কারণ এইসব নমুনা নিয়েই পৃথিবীতে ফেরার পর তা গবেষণা করে তবেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলগ্রহের বুকে যে রয়েছে Jezero Crater রয়েছে, তার আশপাশ এবং ওই অংশ থেকেই নমুনা সংগ্রহ করবে মার্স রোভার পারসিভের্যান্স। আগামী দিনে অন্যান্য প্রয়াসে রোভার পারসিভের্যান্স লালগ্রহ থেকে পাথর সংগ্রহে সফল হবে বলেই বিশ্বাস করছেন মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার বিজ্ঞানীদের।