Body Smell Drags Mosquitoes: মশা কি আপনাকেই বেশি কামড়ায়? আসল রহস্য লুকিয়ে আপনার শরীরের গভীরে…
Mosquitoes: ভারতসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই মশার দাপট রয়েছে ভালই। মশার কামড়ে যে মারাত্মক রোগটি হয়, তা হল ম্যালেরিয়া। আর এখন তো বর্ষা এলেই ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত বেড়েই চলেছে।
Mosquitoes Bite: সন্ধ্যে হলেই অনেক বাড়িতেই মশার উৎপাত শুরু হয়ে যায়। অনেকেই ঘরের জানলা দরজা বন্ধ করে দেন, যাতে মশা না ঢোকে। এমন কথা তো আকছার শোনা যায় যে “কেন যে সব মশা আমাকেই কামড়াচ্ছে?” প্রশ্ন শুনলেও এর উত্তর অনেকের কাছেই অজানা। সত্যিই কি মশা নির্দিষ্ট করে কাউকে বেশি কামড়ায়? বিজ্ঞানীরা তো সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। ঠিক সেই মতোই বহু গবেষণা শেষে এই প্রশ্নের উত্তরও পেয়েছেন। ভারতসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই মশার দাপট রয়েছে ভালই। মশার কামড়ে যে মারাত্মক রোগটি হয়, তা হল ম্যালেরিয়া। আর এখন তো বর্ষা এলেই ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত বেড়েই চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, শুধুমাত্র ভারতেই প্রতি বছর ম্যালেরিয়ায় 200,000 জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়। 55,000 শিশু জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই মারা যায়। তবে ম্যালেরিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে আফ্রিকার দেশগুলিতে।
মানুষ বিশেষে মশা বেশি কামড়ায়, কারণটা কী?
মার্কিন বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, মানুষের শরীরের গন্ধ মশাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে। তারা জানিয়েছেন, পনির, দুধ, ক্রিম এবং দই-এ পাওয়া নির্দিষ্ট অ্যাসিডের কারণে মানুষের শরীরে যে গন্ধ হয়, তাতেই মশা আকৃষ্ট হয়। জনস হপকিন্স ম্যালেরিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা সায়েন্স জার্নালের কারেন্ট বায়োলজিতে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। সেই গবেষণায় জানানো হয়েছে, মানুষের শরীরের গন্ধ মশাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে।
এই গবেষণা কীভাবে করা হয়?
গবেষণার সময়, গবেষকরা একটি খাঁচা ব্যবহার করেন এবং খাঁচাটি আফ্রিকান ম্যালেরিয়া রোগবহনকারী মশা দিয়ে পূর্ণ করেন। যদিও এই মশাগুলি ম্যালেরিয়ায় সংক্রামিত ছিল না। গবেষণার সময় ছ’জন অংশগ্রহণকারীকে নির্বাচন করা হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীরা একটি তাঁবুতে ঘুমাতেন। সেখান থেকে লম্বা টিউব দিয়ে অংশগ্রহণকারীদের শ্বাস এবং শরীরের গন্ধকে মশার খাঁচায় পাম্প করে দেওয়া হত।
গবেষণার ফলাফল অনুসারে, মশারা বায়ুবাহিত কার্বক্সিলিক অ্যাসিডের প্রতি সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট হয়েছিল। এই গন্ধ পনির, দুধ, ক্রিম এবং দইয়ে পাওয়া যায়। এই গবেষণার সহ-লেখক ডঃ এডগার সিমুলন্দু জানান, বিভিন্ন মানুষের শরীরের গন্ধে উপস্থিত রাসায়নিক পদার্থ আলাদা। তাই কোনও ব্যক্তিকে মশা বেশি কামড়াবে, আর কোনও ব্যক্তিকে কম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এটাই স্বাভাবিক।
বিজ্ঞানীদের মতে, কোন কোন গন্ধের প্রতি মশার আকর্ষণ রয়েছে, তা খুঁজে পাওয়া মোটেই সহজ ছিল না। মশার আচরণ সম্পর্কে গিয়ে এটি আবিষ্কার করা হয়েছে। নিউরোবায়োলজিস্ট এবং হাওয়ার্ড হিউজেস মেডিকেল ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ লেসলি ভসেল, এই গবেষণার বিষয়ে তার উত্তেজনা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, এই ধরনের আবিষ্কার অবশ্যই পরবর্তীতে নতুন কোনও মশা জনিত রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।