স্বস্তির খবর! আসানসোলে সুস্থ ৮৬ জন শিশু
Child Fever Asansol: সূত্রের খবর, জেলা হাসপাতালে মোট শিশু ভর্তি রয়েছে ৬৮ জন শিশু। যার মধ্যে অধিকাংশ আবার ঝাড়খণ্ড থেকে আসছে।
আসানসোল: কিছুটা স্বস্তিতে আসানসোল জেলা হাসপাতাল। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল ৮৬ জন শিশু। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। জানা যাচ্ছে, পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে এসে জেলা হাসপাতালে চাপ বাড়াচ্ছে শিশুরা।
সূত্রের খবর, জেলা হাসপাতালে মোট শিশু ভর্তি রয়েছে ৬৮ জন শিশু। যার মধ্যে অধিকাংশ আবার ঝাড়খণ্ড থেকে আসছে। ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, নলা ও গিরিডি থেকেও শিশুদের নিয়ে এসে ভর্তি করা হচ্ছে জেলা হাসপাতালে। এর জেরে চাপ বেড়ে গিয়েছে হাসপাতালের নিউ বিল্ডিং সুপার স্পেশালিটিতে। ভর্তি হওয়া বাচ্চাদের অধিকমাত্রায় জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে গত দুসপ্তাহ ধরেই অজানা জ্বরে শিশুরা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরনো হাসপাতালে আলাদা করে শিশুদের জন্য জায়গার ব্যবস্থা করেছেন। পাশাপাশি অজানা জ্বর নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেছেন মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক শেখ মহম্মদ ইউনুস। তিনি বলেছেন, প্রাথমিক ভাবে এই রোগকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস হিসাবে ধরা হলেও পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে নতুন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের উপস্থিতি নেই। বর্ষাকালে শিশুদের জ্বরে আক্রান্তর ঘটনার স্বাভাবিক। এই সময় বৃষ্টিতে ভেজার পাশাপাশি বিভিন্ন ভাইরাসের উপদ্রব বাড়ে। সেই কারণেই হয়ত আসানসোল জেলা হাসপাতালে সেই হার অনেকটাই বেশি।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণ বঙ্গের এই রাজ্যেও হু-হু করে বেড়েছিল অজানা জ্বর। কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনেও জ্বরের কারণ ধরা না পড়ায় নমুনা পাঠানো হয় পুণের ভাইরোলজিক্যাল ল্যাবে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার মাঝেই চিকিত্সক মহলের উদ্বেগ বাড়িয়েছে এই জ্বর। প্রতিদিনই অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জেলা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন শিশু। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ১৪৮ জন শিশু। সকলেরই একই ধরনের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। জ্বর ছাড়াও শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও খিঁচুনি দেখা দিয়েছে। করোনা পরীক্ষা করার পরেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসে আক্রান্তদের। এরপর মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেন জেলা মুখ্য় স্বাস্থ্য আধিকারিক।
গত দুই সপ্তাহ ধরে উত্তরবঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চলেছে শিশুরা। প্রশ্ন উঠছে, যেখানে গত দুই সপ্তাহ ধরে টানা জ্বরের প্রকোপ বেড়েই চলেছিল, তখন কেন সংক্রমণের খবর রাজ্য স্বাস্থ্যভবনকে জানাননি, উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা? যেখানে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সর্বাধিক প্রভাব পড়তে পারে শিশুদের উপর, সেখানে কী করে এই সংক্রমণকে প্রাথমিকভাবে ইনফ্লুয়েঞজা বলে চিকিত্সা চালানো হচ্ছিল? কী করেই বা শিশু-মৃত্যুর পরেও জলপাইগুড়ির সিএমওএইচ জ্যোতিষচন্দ্র দাস জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। বিশেষ জনস্বাস্থ্য আধিকারিক সুশান্ত রায় কেন কোনও যথাযথ পদক্ষেপ করলেন না, প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট মহলের।
আরও পড়ুন: ‘আরে ভাই…’, চায়ের দোকানে বন্ধুর কথায় পিছন ঘুরতেই শেষ ৩ জন! এ এক অন্য মৃত্যু