Transfer Scam: ৫ বছরে ৩ বার বদলির আবেদন! হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শান্তা মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু সিবিআই-এর

Alipurduar: বীরপাড়া গার্লস হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়ার কথা ছিল শান্তা মণ্ডল নামে এই শিক্ষিকার। তাঁরই বদলি সংক্রান্ত একটি মামলা চলে হাইকোর্টে।

Transfer Scam: ৫ বছরে ৩ বার বদলির আবেদন! হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শান্তা মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু সিবিআই-এর
শান্তা মণ্ডল (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2022 | 2:44 PM

আলিপুরদুয়ার: নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যে তোলপাড় রাজ্য। গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার গ্রেফতার হন প্রাক্তন স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা এসপি সিনহা, ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন সহ সচিব অশোক সাহা। তবে শুধু নিয়োগ নয়, বদলির ঘটনায় মামলা রুজু করল সিবিআই (CBI)। জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী এই মামলা রুজু করেছে সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা। আলিপুরদুয়ারের বিরপাড়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শান্তা মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শান্তা মণ্ডল। বীরপাড়া হাই স্কুলের এই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাঁচ বছরে তিনবার বদলি নিয়েছেন তিনি। নিজেই শিক্ষা দফতরে চিঠি লিখে নিজের পছন্দের জায়গার সুপারিশ করেছিলেন শান্তা। এরপর জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।

কী ঘটেছিল?

মূলত, বীরপাড়া গার্লস হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষিকা পদে যোগ দেওয়ার কথা ছিল শান্তা মণ্ডল নামে এই শিক্ষিকার। তাঁরই বদলি সংক্রান্ত একটি মামলা চলে হাইকোর্টে। আদালত সূত্রে খবর, ২০১৯ সালের বীরপাড়া গার্লস হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষিকার পদে যোগ দেন শান্তা মণ্ডল। এরপর শিলিগুড়ির অমিয় পাল স্মৃতি বিদ্যালয়ে তাঁর বদলি হয়। কিন্তু সেই স্কুলে কাজে যোগ দেন না তিনি। বদলে তিনি ফের বদলির আবেদন জানান। এরপর শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাইস্কুলে যোগ দেন শান্তা।

এখানেই ওঠে অনিয়মের অভিযোগ। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিলিগুড়ির শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির হাইস্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক প্রসূনসুন্দর তর‌ফদার। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি ওঠে। বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাঁচ বছরের আগেই বারবার শান্তা মণ্ডল বদলি কীভাবে পাচ্ছেন? এক্ষেত্রে তাঁকে গত শনিবারই বীরপাড়া গার্লস হাইস্কুলে পুরনো পদে কাজে যোগ দানের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু তা তিনি দেননি। এরপরই এ দিন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।