AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Alipurduar: জংলি আলু খেয়েই কাটছে দিন, মেলে না পুষ্টিকর খাবার, উন্নয়ন কোথায়? CDPO-কে ধমক মন্ত্রীর

North Bengal: স্থানীয় সূত্রে খবর, এই খাড়িয়াবস্তিতে একটি মাত্র অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। অভিযোগ, তা আবার প্রতিদিন খোলা হয় না।

Alipurduar: জংলি আলু খেয়েই কাটছে দিন, মেলে না পুষ্টিকর খাবার, উন্নয়ন কোথায়? CDPO-কে ধমক মন্ত্রীর
আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলছেন মন্ত্রী (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Aug 17, 2022 | 1:37 PM
Share

আলিপুরদুয়ার: নিয়মিত খোলা হয় না অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। পুষ্টিকর খাবার পায় না শিশুরা। গ্রামে উন্নয়নের ছাপ ছিঁটেফোটাও নেই। ঠিক এই রকমই একগুচ্ছ অভিযোগ শুনলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। মঙ্গলবার বিকেলে আলিপুরদুয়ারের জঙ্গল ঘেরা জনপদ খাড়িয়াবস্তিতে যান। সেখানেই গ্রামবাসীদের কাছ থেকে শুনলেন পাহাড় প্রমাণ অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এই খাড়িয়াবস্তিতে একটি মাত্র অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। অভিযোগ, তা আবার প্রতিদিন খোলা হয় না। ফলত, শিশুরা পুষ্টিকর খাদ্য পায় না। স্থানীয় বাসিন্দাদের এমন অভিযোগ শুনে তৎক্ষণাৎ মন্ত্রী ব্যবস্থা নেন। ফোন করেন সিডিপিওকে। এরপর তিরস্কৃত করেন তাঁকে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এখন গৃহপালিত পশু থাকে। ভোট এলেই গ্রামে আসেন রাজনৈতিক নেতারা।প্রশাসন তো জানেই না এই প্রত্যন্ত ও দুর্গম গ্রামের কথা।

বস্তুত, আলিপুরদুয়ার ২ নম্বর ব্লকের মহাকালগুড়ি গ্রাম পঞ্চহায়েতের দুর্গম জনপদ খাড়িয়াবস্তি। রায়ডাক ১ নদী এই বস্তিকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ছিপড়া বনাঞ্চল ঘিরে এই বনবস্তি। দিনে রাতে হাতি সহ বন্যপ্রানীদের অবাধ যাতাযাত এইখানে। এক কথায় যেন শুধু জীবন-যুদ্ধ করেই বেঁচে আছেন এখানকার ২৭ টি পরিবার।

জানা গিয়েছে, এখানকার লোকসংখ্যা প্রায় দেড়শো জন। করোনাকালে নদী পেরিয়ে এই বনবস্তিতে আলিপুরদুয়ার ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাস করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই সময় রায়ডাক ১ নদীতে একটি ব্রেইলি ব্রিজ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক নেতারা।কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।

এই বনবস্তির আদিবাসীদের জীবন জীবিকা জঙ্গলের কাঠ সংগ্রহ, পশুপালন ও রায়ডাক নদীর মাছ শিকার করা। এইখানকার অধিকাংশ বাসিন্দাদের নেই ঘরবাড়ি। ভাঙা ঘরেই দিন কাটান তাঁরা। ছেলে মেয়েদের শিক্ষাও সেই তিমিরে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন উপজাতি, আদিবাসীদের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি নিচ্ছেন তখন এই বনবস্তিতে সেই কর্মসূচির কোনও ছাপ পড়ছে না বলেই অভিযোগ। তাই একরাশ ক্ষোভ খাড়িয়া জনজাতিদের। তাঁদের দাবি গ্রামের উন্নয়ন, রায়ডাক নদীতে ব্রিজ। গীতাঞ্জলী প্রকল্পে দুঃস্থ্য খাড়িয়াদের ঘরবাড়ি প্রদান। এদের আরও অভিযোগ, জোটে না দুবেলা খাবার। জংলি আলু খেয়ে বেঁচে আছেন অনেকে।হাজারো আবাস যোজনার প্রকল্প থাকলেও গ্রামবাসীরা পাননা এরকমই অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাস জানান, ‘আসলে এদের জাতিগত শংসাপত্র নেই। তা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।যদিও মন্ত্রী এদিন এখানেই ক্যাম্প করে তা দিতে বলেন গ্রামবাসীদের। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পে ঘর দেওয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’