Arsenic in Water: বাড়ছে বিপদ! লক্ষাধিক মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে আর্সেনিক ভরা জল

Arsenic in Water: প্লান্ট বন্ধ দিনের পর দিন। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না। সমস্যায় পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

Arsenic in Water: বাড়ছে বিপদ! লক্ষাধিক মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে আর্সেনিক ভরা জল
এলাকায় মিলছে না পরিশুদ্ধ পানীয় জল (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2021 | 11:48 AM

মালদা: এলাকার মানুয যাতে আর্সেনিকমুক্ত জল পায়, তার জন্যই তৈরি হয়েছিল বিশেষ প্লান্ট। আচমকাই যান্ত্রিক সমস্যায় বন্ধ সেই প্লান্ট। বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও সারানোর কোনও উদ্যোগ নেই। এই প্লান্ট থেকে জল পৌঁছয় অন্তত ২ লক্ষ মানুষের কাছে। স্বাভাবিকভাবেই শুদ্ধ পানীয় জল পাচ্ছেন না লক্ষাধিক মানুষ। ১০- ১৫ দিন কেটে গেলেও পরিস্থিতি বদলায়নি। টাকা দিয়ে জল কিনে খাচ্ছেন কেউ কেউ। যাদের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো নয়, তাঁদের সেই আর্সেনিক যুক্ত জলের ওপরেই ভরসা করতে হচ্ছে। মালদার একটা বড় অংশের মানুষকে পান করতে হচ্ছে সেই বিষাক্ত জল।

আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছে রতুয়া-১ নম্বর ব্লকের কাহালা ও দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। গত কয়েকদিন ধরে পরিস্রুত পানীয় জল পাচ্ছেন না দু’লক্ষের বেশি গ্রামবাসী। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা জল কিনে খাচ্ছেন। যাঁদের সেই সামর্থ্য নেই, প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা বিষ মিশে থাকা জলই পান করছেন। দ্রুত পানের যোগ্য জল সরবরাহের দাবিতে তাঁরা স্থানীয় পঞ্চায়েত দফতরে আবেদন জানিয়েছেন। একই আর্জি জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরেও। কোনও তরফেই কোনও প্রচেষ্টা দেখা যায়নি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শীতের শুরুতেই নদী অনেকটা পিছিয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের কাহালায় অবস্থিত আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল প্রকল্পের ওপর কাহালা ও দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু মানুষ নির্ভর করেন। সেই সংখ্যাটি দু’লক্ষেরও বেশি। কিন্তু গত পাঁচ দিন ধরে ওই প্রকল্প থেকে পানীয় জল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এ দিকে এলাকায় পানীয় জলের বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেই।

রঞ্জন কুমার সিংহ নামে এলাকার এক বাসিন্দা জানান, বারবার অভিযোগ জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে, তবুও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। দিনের পর দিন বিষাক্ত জল খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ডায়রিয়া সহ একাধিক অসুখের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে এলাকায়। তাঁর দাবি, অভিযোগ সঠিক জায়গায় পৌঁছচ্ছে না।

দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লালটু চৌধুরীর বক্তব্য, ‘৪-৫ দিন ধরে পরিস্রুত পানীয় জল না পেয়ে এই পঞ্চায়েত এলাকার অনেক মানুষ পঞ্চায়েত দফরে এসেছিলেন। তাঁরা হুমকি দিয়েছেন, দু’একদিনের মধ্যে পানীয় জল সরবরাহ চালু না হলে তাঁরা বড়সড় আন্দোলনে নামবেন। প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন, এ নিয়ে দ্রুত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হোক। নইলে আমরাও সমস্যার মধ্যে পড়ব।’ রতুয়া- ১ নম্বর ব্লকের ব্লক আধিকারিক রাকেশ টাপো জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেই আমি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে চিঠি দিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। গ্রামবাসীরা যাতে খুব তাড়াতাড়ি পরিস্রুত পানীয় জল পান, তার জন্য আমি ফের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলব।’

আরও পড়ুন: Diamond Harbour News: ৩৭ বছর পর মিলল স্ত্রীর খোঁজ, দ্বিতীয়কে রেখেই প্রথম বউয়ের সঙ্গে পুনর্মিলন প্রৌঢ়ের