TMC-BJP : পঞ্চায়েতের প্রচারে মানুষের দুয়ারে তৃণমূল-বিজেপি, বাঁকুড়ার তপ্ত মাটিতে কোমর বেঁধে চলল দেওয়াল লিখন
TMC-BJP : প্রচারের ময়দানে পিছিয়ে থাকতে নারাজ বিজেপিও। এদিন আঁধারথোল এলাকায় বিজেপির তরফেও দেওয়াল লিখন করা হয়।
বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) এখনও ঢের দেরি। তবে শুরু হয়ে গিয়েছে সলতে পাকানো। রাজ্যব্যাপী কোমর বেঁধে ভোট প্রচারে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী সবপক্ষই। এই অবস্থায় বাঁকুড়া জেলায় একই দিনে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নেমে পড়ল শাসক তৃণমূল (Trinamool Congress) ও বিরোধী বিজেপি(BJP)। দুই দলের পক্ষেই পৃথক পৃথক জায়গায় হল দেওয়াল লিখন। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে আবাস যোজনা, সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি নানা সরকারি ক্ষেত্রে স্বজন পোষণের অভিযোগে কিছুটা হলেও এখন কোণঠাসা রাজ্যের শাসকদল। তৃনমূলের নিচু তলার কর্মীদের একাংশের মধ্যে তা নিয়ে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে।
এদিকে এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলের কর্মীদের গা ছাড়া মনোভাব কাটিয়ে নির্বাচনের আগে তাঁদের চাঙ্গা করে মাঠে নামাতে মরিয়া রাজ্যের শাসক শিবির। অন্যদিকে একের পর এক দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের ঘটনায় কোনঠাসা শাসক দলকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরও চেপে ধরতে মরিয়া গেরুয়া শিবিরও। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বহু আগে থেকেই কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়ল দুই শিবির। বাঁকুড়ার কালপাথর এলাকায় এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রেখে দেওয়াল লিখনের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পকে সামনে রেখে বাড়ি বাড়ি ঘুরে তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা প্রচারও শুরু করে দেন।
তবে প্রচারের ময়দানে পিছিয়ে থাকতে নারাজ বিজেপিও। এদিন আঁধারথোল এলাকায় বিজেপির তরফেও একই কায়দায় দেওয়াল লিখন করা হয়। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির ইস্যুকে তুলে ধরে এদিন এলাকায় প্রচারও করতে দেখা যায় পদ্ম শিবিরের নেতা-কর্মীদের। দুইয়ে মিলে সরগরম এদিন সকাল থেকেই সরগরম বাঁকুড়ার রাজনৈতিক মহল।
বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সন্দীপ বাউরি বলেন, “আর কিছুদিন পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ভারতীয় জনতা পার্টি বাঁকুড়ার পাশাপাশি গোটা রাজ্যেই লড়াই করবে। যে সমস্ত দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে সেগুলিই হবে আমাদের লড়াইয়ের মূল হাতিয়ার। আমরা তৃণমূল নামক শোষক দলকে হারাতে পারব বলে মনে করি। আমরা জয়ের বিষয়ে একশো শতাংশ আশাবাদী। মানুষের থেকেও সাড়া পাচ্ছি। মানুষ চাইছে বিজেপিকে।”
পাল্টা বিরোধী শিবিরের দিকে আক্রমণ শানিয়ে বাঁকুড়া তৃণমূলের যুব সভাপতি সন্দীপ বাউরি বলেন, “আমরা গোটা বছরই মানুষের সঙ্গে থাকি। এবার সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তাই আজ থেকে নতুন করে প্রচার শুরু করে দিলাম। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বললাম। আবাস যোজনার কাজ নিয়ে মানুষ খুব খুশি। বাড়িতে জল পৌঁছে যাচ্ছে। ঢালাই রাস্তা হয়েছে। এই উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই আমরা ভোটে লড়ব। বিজেপি অপ্রচারে যাতে মানুষ কান না দেয় সে কথাও বলছি। একইসঙ্গে ৩৪ বছরের সরকারে সিপিএম যে কিছুই করেনি তা নতুন করে তুলে ধরছি মানুষের দরবারে।”