Newtown: রাত বাড়লেই বদলে যাচ্ছে ছবি, নিউটাউনে প্রতিদিন বাড়ছে ভয়, আতঙ্কে ঘরের বাইরে পা দিচ্ছেন না এলাকাবাসী
Newtown: জানা যাচ্ছে, গত ২৪ তারিখ রাতে নিউটাউনের সিডি ব্লকের এক মহিলা কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দাদা। সেই সময় হঠাৎ করে এক পথ কুকুর ওই মহিলার পায়ে কামড়ে দেয়। যন্ত্রণায় চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন তিনি।

নিউটাউন: নিউটাউন মূলত অফিস এলাকা। যে দিকেই তাকানো যায় বড়-বড় বহুতল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। সকালবেলা অফিস পাড়াগুলিতে হইচই থাকে। তবে রাত হলেই ঘুরে যায় ছবিটা। ফাঁকা শুনশান রাস্তা। আর এখন সেই রাস্তায় ধেয়ে আসছে বিপদ। কারণ, রাত হলেই পথ কুকুরের আতঙ্ক নিউটাউনে। মাঝে মধ্যেই পথপুকুরদের কামড়ের শিকার হচ্ছেন পথ চলতি মানুষ সাধারণ মানুষ। বাদ যাচ্ছেন না সাইকেল এবং বাইক আরোহীরা।
জানা যাচ্ছে, গত ২৪ তারিখ রাতে নিউটাউনের সিডি ব্লকের এক মহিলা কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দাদা। সেই সময় হঠাৎ করে এক পথ কুকুর ওই মহিলার পায়ে কামড়ে দেয়। যন্ত্রণায় চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন তিনি। সেই সময় নিউ টাউনের এক আবাসিক তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যায় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে যেতে হয় বিধান নগর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেও কুকুর কামড়ের ইঞ্জেকশন না থাকায় বেলেঘাটা আইডিতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
তবে কুকুর কামড়ের ঘটনা নতুন নয়। মাঝে মধ্যেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী মহিলা। আহত মহিলার আরও দাবি, অনেক পশুপ্রেমী আছেন তারা পথ কুকুরকে খাবার দেন। অথচ নির্বিচকরণ বা ভ্যাকসিনেশন করাতে এগিয়ে আসেন না। যার ফলে দিনের পর দিন কুকুরের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর আতঙ্ক বেড়েই চলেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আহত মহিলা বলেন, “ওই ইঞ্জেকশন নিলে সারারাত মাথার যন্ত্রণা করে। ঘুম হয় না। চোখে জল চলে আসবে। এই ভাবে ইঞ্জেকশন নিয়ে নিয়ে তো মরে যাব। তাহলে নিউটাউনে মানুষ মরে যাক আর কুকুর বেঁচে থাক।” অপূর্ব রায় নামে আরও এক বাসিন্দা বলেন, “আসলে এখানকার পুরনো বাসিন্দাদের কুকুরগুলো চিনে যায়। কিছু করে না। কিন্তু অপরিচিতদের কামড়ে দিচ্ছে। ঘেউঘেউ করছে।”





