Bankura: ভোটের মুখে তীব্র জল সঙ্কট, রাস্তায় হাঁড়ি-কলসি নামিয়ে পথ অবরোধ মহিলাদের

Bankura: বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের পিঠাবাইদ গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের জন্য পাইপ লাইন বসানো হলেও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের টালবাহানায় সেই পাইপ লাইন দিয়ে জল মেলে না।

Bankura: ভোটের মুখে তীব্র জল সঙ্কট, রাস্তায় হাঁড়ি-কলসি নামিয়ে পথ অবরোধ মহিলাদের
শোরগোল এলাকায় Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 15, 2024 | 1:58 PM

বাঁকুড়া: গরম পড়তেই জল সঙ্কট। এক ফোঁটা জলের জ্ন্য গ্রামজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র হাহাকার। নলবাহিত পানীয় জল তো মিলছেই না, গ্রামের একমাত্র নলকূপটিও বিকল। বারবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। অগত্যা গ্রাম থেকে দল বেঁধে গাড়ি ভাড়া করে মহকুমা শহরে গিয়ে রাস্তায় হাঁড়ি কলসি নামিয়ে অবরোধ-বিক্ষোভে সামিল হলেন এলাকার মহিলারা। এদিন এই ছবিই দেখা গেল বাঁকুড়ার খাতড়ায়। অবরোধের জেরে এদিন খাতড়া রানীবাঁধ রাজ্য সড়কে যান চলাচল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। 

বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের পিঠাবাইদ গ্রামে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের জন্য পাইপ লাইন বসানো হলেও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের টালবাহানায় সেই পাইপ লাইন দিয়ে জল মেলে না। গ্রামে একমাত্র ব্যবহার যোগ্য নলকূপ থেকে কোনওক্রমে পানীয় জল সংগ্রহ করতেন গ্রামের ৭০ থেকে ৮০ টি পরিবার। কিন্তু, সম্প্রতি সেই নলকূপটিও বিকল হয়ে পড়েছে। ফলে কার্যত নির্জলা হয়ে পড়েছে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের পিঠাবাইদ গ্রাম। 

ভোটের আগে পানীয় জলের তীব্র হাহাকারে গ্রামের মানুষের ক্ষোভ বেড়েই চলেছে। গ্রামের লোকজনের অভিযোগ, সব দেখে শুনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। সে কারণেই বাধ্য হয়ে তাঁরা প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটছেন। জলের জন্য পিক আপ ভ্যান ভাড়া করে গ্রামের মানুষ ছুটে গেলেন মহকুমা শহর খাতড়ায়। সেখানে খাতড়া রানীবাঁধ রাজ্য সড়কের উপর জলের হাঁড়ি কলসি নামিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকার বাসিন্দারা।  খবর পেয়ে খাতড়া থানার পুলিশ অবরোধ তুলতে যায়। কিন্তু, বিক্ষুদ্ধ জনতার সঙ্গে পুলিশেরও বচসা শুরু হয়ে যায়। অবরোধকারীদের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, জলসঙ্কট না মেটানো পর্যন্ত তাঁরা অবরোধ চালিয়ে যাবেন। 

গ্রামেরই এক মহিলা বলছেন, “তিন বছর ধরে এই সমস্যা চলছি। প্রশাসনের সব দফতরে গিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। আমরা কী খাব তাহলে এখন? যতক্ষণ না আমাদের সমস্যা মিটছে আমরা অবরোধ তুলব না।”  তবে শেষ পর্যন্ত প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের চেষ্টায় অবরোধ তুলতে সক্ষম হয় পুলিশ।