School: বন্ধ স্কুল, তবুও পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে পাঠ্যবই পৌঁছে দিচ্ছেন শিক্ষকরা

Bankura: পড়াশোনার সঙ্গে পড়ুয়াদের যোগাযোগ যাতে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায় সেই কারণে গ্রামে গ্রামে শিবির করে পড়ুয়া জোগাড় করছেন শিক্ষকরা।

School: বন্ধ স্কুল, তবুও পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে পাঠ্যবই পৌঁছে দিচ্ছেন শিক্ষকরা
শিক্ষকরা পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দিচ্ছেন বাড়ি-বাড়ি (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 19, 2022 | 2:05 PM

বাঁকুড়া: প্রায় অনেকটা সময় কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল স্কুল। ফের বেজেছিল স্কুলের ঘণ্টা। স্কুল পড়ুয়ারা ফের হয়েছিল স্কুলমুখী। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় দেখা গিয়েছিল অধিকাংশ পড়ুয়া হয় সংসারের চাপে কাজে ঢুকে গিয়েছে নতুবা কারোর আবার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এরপর ফের বাড়ল সংক্রমণ। লাগাম টানতে আবারও বন্ধ হল সমস্ত কিছু। কিন্তু পড়ুয়ারা যাতে স্কুলমুখী থাকে সেই কারণে উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

বেড়েছে সংক্রমণ। যার কারণে হয়েছে আংশিক লকডাউন। করোনা আবহে বন্ধ স্কুল, পিছিয়ে পড়া গ্রামের ছাত্র ছাত্রীদের বাড়িতে বাড়িতে স্কুলের পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে শিবির করে পড়ুয়া জোগাড় করছেন দুবড়াকোন প্রাথমিকের স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।

স্কুলের অধিকাংশ পড়ুয়া পিছিয়ে পড়া নিম্নবিত্ত পরিবারের। অধিকাংশই প্রথম প্রজন্মের স্কুল ছাত্র। করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুল। পড়াশোনার সাথে যোগাযোগটাই হারাতে বসেছিল পড়ুয়ারা। এবার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাই এগিয়ে এলেন। গ্রামে ঘুরে ঘুরে পড়ুয়াদের হাতে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই তুলে দেওয়ার পাশাপাশি স্কুল ছুটদের স্কুলে ফেরাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।

বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের দুবড়াকোন এলাকা জেলার মধ্যে অন্যতম পিছিয়ে পড়া এলাকা। এই স্কুলের একটা বড় অংশের পড়ুয়ার বাড়ি স্থানীয় ধান্দা গ্রামে। এই গ্রামের বেশিরভাগ পরিবার ফেরিওয়ালার কাজ করেন। অধিকাংশ পড়ুয়ায় পরিবারের প্রথম প্রজন্মের স্কুল যাত্রী। দু বছরেরও বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় এমনিতেই লাটে উঠেছে তাদের পড়াশোনা। ফেরিওয়ালার কাজ বন্ধ রেখে স্কুল থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষের বই সংগ্রহ করাও পড়ুয়াদের অভিভাবকদের কাছে বেশ কঠিন। এই পরিস্থিতিতে ওই স্কুলের শিক্ষকরাই পৌঁছে গেলেন গ্রামে। পড়ুয়াদের গ্রামে গিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন নতুন শিক্ষাবর্ষের বই। গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে নতুন পড়ুয়া সংগ্রহের পাশাপাশি স্কুল ছুটদের ফের স্কুলে টেনে আনতে গ্রামে গিয়ে স্কুলে ভর্তির প্রক্রিয়াও সারলেন তাঁরা। স্কুল বন্ধ থাকলেও কোনো পড়ুয়ারা চাইলে বাড়ি বাড়ি ঘুরে পড়া বুঝিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা। দুবড়াকোন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের এমন উদ্যোগে স্বভাবতই খুশি ধান্দা গ্রামের দিন আনি দিন খাই ফেরিওয়ালা পরিবারগুলি।

এই বিষয়ে এক শিক্ষক বলেন, “এখন স্কুল বন্ধ রয়েছে। সেই কারণে আমরা ভিড় এড়াতে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বই বিতরণ করছি। যাতে বাচ্চারা স্কুল বন্ধ থাকলেও বাড়িতেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।”

আরও পড়ুন: Goa Assembly Election 2022: গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে অমিত পালেকরকে বাছলেন কেজরীবাল