Kenduli Mela: হাতে গোনা পুণ্যার্থী নিয়েই বীরভূমে শুরু জয়দেব কেন্দুলি মেলা!
Birbhum: তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে পুণ্যার্থীর সংখ্যা বাড়বে বলেই মনেই করা হচ্ছে।
বীরভূম: করোনা পরিস্থিতিতে প্রথমবার বাতিল হয়েছিল জয়দেব কেন্দুলী মেলা (Kenduli Mela)। পরে যদিও ঐতিত্য ধরে রাখতে ‘ছোট’ করে মেলা করার সিদ্ধান্ত নেন বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। সেই মোতাবেক শুক্রবার থেকে শুরু হল ঐতিহ্যবাহী জয়দেব কেন্দুলি মেলা।
আজ সকাল থেকেই অজয় নদীতে স্নান করে জয়দেব মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় জমিয়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীরা। ইতিমধ্যে মানুষের ভিড় বেশ চোখে পড়ার মতো। তবে এই বছর মেলায় বাউল-ফকিরের আখড়া তেমন বেশি নেই। প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সচেতনতার প্রচার চালানো হয়েছে। প্রত্যেককে করোনা বিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে। তবে সেই নির্দেশিকাই সার, সকাল থেকে যে সকল পূণ্যার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশরই রয়েছে সচেতনতার অভাব। নির্দেশিকা উড়িয়ে প্রচুর মানুষ মাস্ক ছাড়াই এলাকায় ঘোরাঘুরি করছেন। আর দূরত্ববিধি? তার কোনও বালাই নেই! তবে বেলা বাড়লে কেন্দুলি মেলায় মানুষের ভিড় বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মেলার সার্বিক পরিস্থিতি কেমন? কী বললেন পুলিশ সুপার?
বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী বলেন, “আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলা আজ থেকে শুরু হল। তবে আমরা গতকাল থেকেই মেলা নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলাম। গতকাল সকাল থেকেই পুলিশকর্মীরা মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেছেন। মেলাজুড়ে প্রায় সতেরোশো থেকে আঠারোশোর বেশি পুলিশকর্মী মজুত রয়েছেন। তার মধ্যে সিভিক পুলিশ ও কনস্টেবল রয়েছেন। পাশাপাশি এসপি থাকছেন, আমি নিজেও রয়েছি। বাকি নিরাপত্তার কোনও সমস্যা এখানে নেই। তবে খুব বেশি মানুষ এখানে উপস্থিত হননি। সেই কারণে মানুষকে ধন্যবাদ জানাই আমরা। আমরা বারবার সচেতনতার প্রচার চালিয়েছি। অল্প কয়েকজন সাধু-সন্ন্যাসী উপস্থিত হয়েছেন। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া থার্মাল স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV)।”
সূত্রের খবর, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর জয়দেব মেলায় তুলনামূলকভাবে পুণ্যার্থী সংখ্যা কিছুটা হলেও কম। প্রশাসনের তরফে থেকে সবরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকাল থেকেই বারবার মেলা চত্ত্বরকে স্যানিটাইজ় করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকেই এই কাজ করা হচ্ছে। সঙ্গে বাউলের সেভাবে আখড়া না হওয়ায় কিছুটা হলেও মন খারাপ বাউল শিল্পীদের। পাশাপাশি এই মেলার অন্যতম ঐতিহ্য কলা বিক্রি, এবার তা দেখা গেলেও সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।
প্রসঙ্গত, সূত্রের খবর, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর জয়দেব মেলায় তুলনামূলকভাবে পুণ্যার্থী সংখ্যা কিছুটা হলেও কম। প্রশাসনের তরফে থেকে সবরকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পরে ১১ জানুয়ারি সেই সিদ্ধান্ত বদল করে জানানো হয় মেলা হওয়ার কথা। প্রত্যেক বছর মকর সংক্রান্তির দিন বীরভূমের জয়দেবে অনুষ্ঠিত হয় কেন্দুলি মেলা। যেখানে প্রত্যেক বছর লক্ষাধিক মানুষ ভিড় করেন। কার্যত বাউলা কার্মেলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এই মেলাটি। মেলাজুড়ে ভরে যায় কীর্তনিয়া, বাউল শিল্পীদের আখাড়াতে।