Birbhum: প্রাক্তন স্ত্রীকে কুপিয়ে ‘খুন’, পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু স্বামীর
Lynching: প্রাক্তন স্ত্রীকে 'খুন' করে পালানোর সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যায় সে। আর তারপরই শুরু হয় 'গণপিটুনি'।
মুরারই: বীরভূমের মুরারই থানা এলাকার বাসিন্দা সোনামণি মুর্মুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সামু মুর্মুর। কিন্ত সেই বিয়ে শেষ পর্যন্ত আর টেকেনি। দুইজনের সম্পর্কে ইতি পড়েছে। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল সোনামণি ও সামুর। কিন্তু সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে স্ত্রীর উপর একটি চাপা অসন্তোষ থেকেই গিয়েছিল সামু মুর্মুর। আর তার জেরেই চরম সিদ্ধান্ত নেয় সে। রবিবার বিকেলে প্রাক্তন স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সামুর বিরুদ্ধে। এরপর নিজেরও পরিণতি খুব একটা ভাল হয়নি। প্রাক্তন স্ত্রীকে ‘খুন’ করে পালানোর সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ে যায় সে। আর তারপরই শুরু হয় ‘গণপিটুনি’। অভিযোগ, সেই গণপিটুনির জেরেই মৃত্যু হয় সোনামণির প্রাক্তন স্বামী সামু মুর্মুরও। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মুরারই থানার চন্দ্রপাড়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গতকাল বিকেলে সোনামনি মুর্মুকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে সামু মুর্মুর বিরুদ্ধে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি জানতে পারেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি পালানোর সময় তাকে ধরে ফেলেন এলাকাবাসীরা। তারপর ক্ষুব্ধ স্থানীয় লোকজন মিলে গণপিটুনি দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি। ঘটনার গুরুতর জখম হয় সামু মুর্মু। এরপর তাকে সেই জখম অবস্থায় প্রথমে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গণপিটুনির পর ওই ব্যক্তিকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তাঁর সারা দেহ রক্তাক্ত। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। গোঙানির শব্দ। সারা গায়ে ধুলোয় মাখামাখি।
সামু মুর্মুর অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে তার চিকিৎসা করা সম্ভব হয়নি। পরে সেখান থেকে তাকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার গভীর রাতে রামপুরহাট হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সামু মুর্মুর। এদিকে গণপিটুনির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। ঘটনার জেরে চার জন এলাকাবাসীকে গ্রেফতার করেছে মুরারই থানার পুলিশ। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে তদন্ত করে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।