Communal Harmony: রামনবমীর মিছিলে যোগদানকারীদের সরবত-মিষ্টি খাওয়ালেন এনামুল-সাব্বিররা
রোজা শেষ করেই তাঁরা হিন্দু ভাইদের জন্য জলযোগের ব্যবস্থা করেছিলেন।
মেদিনীপুর: সম্প্রীতির নজির মেদিনীপুর শহরে (Medinipur Town)। রামনবমী উপলক্ষ্যে রবিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরে একটি আখড়া বেরিয়েছিল। সেই আখড়ায় অংশগ্রহণকারী মানুষদের জন্য সরবৎ এবং মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা করলেন এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের ফুলের মালা ও উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগতও জানান মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে সম্প্রীতিই (Harmony) যে শেষ কথা, এদিন তারই প্রমাণ দিল মেদিনীপুর শহর।
রামনবমী উপলক্ষ্যে এদিন মেদিনীপুর শহরের মির্জা বাজার এলাকার সুভাষ সংঘ ব্যায়ামাগার ক্লাব থেকে বেরিয়েছিল আখড়া। আর শহরের কেরানিতলা এলাকায় সরবৎ, মিষ্টি সহ মালা-উত্তরীয় দিয়ে ওই আখড়ার সদস্যদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছিল এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়। এখন তাঁদের রমজান মাস চলছে। রোজা শেষ করেই তাঁরা হিন্দু ভাইদের জন্য জলযোগের ব্যবস্থা করেছিলেন। প্রায় চার হাজার মানুষের জন্য সরবত এবং মিষ্টির আয়োজন করেন তাঁরা। হিন্দুদের আখড়া সেখানে পৌঁছতেই মুসলিম ভাইরা তাঁদের ফুলের মালা ও উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান। তারপর তাঁদের হাতে সরবত ও মিষ্টি তুলে দেন।
মূলত, কেরানিতলা মিসকো ক্লাবের পক্ষ থেকেই রামনবমীর আখড়ার সদস্যদের জন্য এই বিশেষ আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এপ্রসঙ্গে কেরানিতলা মিসকো ক্লাবের সম্পাদক এনামুল খান ও সাব্বির হোসেনরা বলেন, “আমরা সবাই এক। তাই এদিনের এই আয়োজন।” আরও একধাপ এগিয়ে মেদিনীপুর টাউন মুসলিম কমিটির প্রাক্তন সভাপতি মাজলা হুজুর বলেন, “সম্প্রীতি রক্ষার জন্য রামনবমী আখড়া উপলক্ষ্যে অংশ নেওয়া মানুষদের সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। তাঁদের সরবত, মিষ্টি তুলে দেওয়া হয়। সর্ব ধর্মের মানুষ বসবাস করে এখানে। সম্প্রীতিই মূল লক্ষ্য।”
অন্যদিকে, মুসলিম ভাইদের এই আয়োজনে অভিভূত আখড়া কমিটির সদস্যরাও। সুভাষ সংঘ ব্যায়ামাগার ক্লাবের সভাপতি তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, “ঐতিহাসিক শহর হল মেদিনীপুর শহর। শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য বজায় রেখে চলা এই শহরের সংস্কৃতি। মুসলিম ভাইয়েরা আজ সরবতের ব্যবস্থা করে নতুন করে দেখিয়েছে মেদিনীপুরে সম্প্রীতির বার্তা।”