Cooch Behar: মহিলাকে বিবস্ত্র করে ‘মার’, মাথাভাঙার ঘটনার আঁচে দেশেও শোরগোল
Cooch Behar: যদিও নির্যাতিতা মহিলার বক্তব্য, তিনি বিজেপি করেন। তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরাই। পুলিশ ও নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে কোনও সামঞ্জস্য নেই। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই মহিলা। শুক্রবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতারা ওই মহিলাকে আশ্রয় দিয়েছেন।
কোচবিহার: মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ। কোচবিহারে মধ্যযুগীয় বর্বরতা। মহিলা বিজেপির সমর্থক হওয়ায় মারধরের অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। মাথাভাঙার ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড়। নিন্দায় সরব বিজেপি। টুইট করেছে বিজেপির আইটি সেলের অমিত মালব্য। আর সেই টুইট উল্লেখ করে নিন্দা করল জাতীয় মহিলা কমিশন। তিন দিনের মধ্যে পদক্ষেপ করে পুলিশকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাথাভাঙার ঘটনায় হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে কয়েকজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। আর তা থেকেই বিষয়ের সূত্রপাত। যে জায়গায় ঝামেলা হচ্ছিল, পাশেই নদীর চর। তিন জন মহিলার সঙ্গে আক্রান্তের বচসা হয়। তাঁকে বিবস্ত্র করে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
যদিও নির্যাতিতা মহিলার বক্তব্য, তিনি বিজেপি করেন। তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছেন তৃণমূল কর্মীরাই। পুলিশ ও নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে কোনও সামঞ্জস্য নেই। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই মহিলা। শুক্রবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতারা ওই মহিলাকে আশ্রয় দিয়েছেন। আতঙ্কে তিনি বাড়িতে যেতে পারছেন না। তবে বিজেপি যে এই বিষয়টাকে নিয়ে আন্দোলনে নামবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে অমিত মালব্যর টুইট।
বিজেপি নেতা বিরাজ বসুর অভিযোগ, “নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই ওই মহিলা কার্যত গৃহবন্দি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে।” অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, “এটা নিতান্তই পারিবারিক বিবাদ। এখানে রাজনীতির রঙ লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। যেমনটা সন্দেশখালিতে করার চেষ্টা করেছিল।”