‘মোটর বাইক কোথায়?’, বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে!

Murder: মাত্র ছয় মাস আগে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল নুরছাপার। দাবি মতো পণ না পেয়ে তাঁকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।

'মোটর বাইক কোথায়?', বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে!
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2021 | 7:18 PM

কুমারগঞ্জ: মাত্র ছয় মাস আগে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল নুরছাপার। দাবি মতো পণ না পেয়ে তাঁকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বাঁধকালাই এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুমারগঞ্জ থানার পুলিস। অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে মৃত ওই গৃহবধূর নাম নুরছাপা বিবি। বয়স মাত্র ১৮ বছর। তাঁর বাপের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানা শিবপুর এলাকায়। বিয়ে হয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের বাঁধকালাই এলাকায়। শনিবার দুপুরে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয় এলবাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাপের বাড়ির তরফে কুমারগঞ্জ থানায় স্বামী সহ-শ্বশুরবাড়ির ৪ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেতেই মৃতের স্বামী সামিউল আলম মণ্ডল ও শ্বশুর সিদ্দিক মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে তারা।

ছয় মাস আগে কুমারগঞ্জের বাঁধকলাই এলাকার সামিউল আলম মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় নুরছাপার। বিয়ের সময় পণ দিয়ে বিয়ে দিয়েছিলেন মেয়ের বাড়ির সকলে। অভিযোগ বিয়ের পর থেকে আরও পণ-সহ কারণ-অকারণে মেয়ের উপর অত্যাচার চালাত স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ব্যবসা ও মোটর বাইকের টাকার জন্য নুরছাপার ওপর চাওয়া দেওয়া হত বলে অভিযোগ। মৃতার বাপের বাড়ির তরফ অভিযোগ, সেই পণের জন্যই এদিন তাঁদের মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।

মৃতের কাকা হবিবুর মণ্ডল বলেন, “ছয়মাস আগে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের সময় যৌতুক দিলেও মাঝেই বাড়তি পণের দাবি জানায় ওই পরিবার। ক’দিন আগেই ব্যবসার জন্য টাকা চেয়েছিল। ছেলেটি বাইক কেনার জন্য টাকা চেয়েছিল। আমরা তা দিতে না পারায় আমাদের মেয়েকে মাঝে মাঝে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। শনিবার সকালে প্রতিবেশীদের মারফত খবর পেয়ে আমরা গিয়ে দেখি আমাদের মেয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমাদের অনুমান ওই বাড়ির লোকেরা শ্বাসরোধ করে মেয়েকে খুন করেছে।”

এবিষয়ে কুমারগঞ্জ থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ পেতেই মৃতের স্বামী সামিউল আলম মন্ডল ও শ্বশুর সিদ্দিক মন্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত স্বামী সামিউল আলম খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আরও পড়ুন: ‘কারও জীবনের ঝুঁকি নেব না,’ ভ্যাকসিন না মেলায় কারখানাই বন্ধ করে দিলেন মালিক! ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছে তৃণমূল