‘কারও জীবনের ঝুঁকি নেব না,’ ভ্যাকসিন না মেলায় কারখানাই বন্ধ করে দিলেন মালিক! ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছে তৃণমূল

Factory Closed: এদিকে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে শ্রমিকদের। সংশ্লিষ্ট কারখানার শ্রমিক উত্তম মণ্ডল, শেফালি মণ্ডলদের কথায়, ভ্যাকসিন না পেলে আমরা কী করব!

'কারও জীবনের ঝুঁকি নেব না,' ভ্যাকসিন না মেলায় কারখানাই বন্ধ করে দিলেন মালিক! ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছে তৃণমূল
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2021 | 4:32 PM

হুগলি: শ্রমিকরা ভ্যাকসিন (Vaccine) পাননি। তাই পুরো কারখানাই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিলেন মালিক! এমনই ঘটনা ঘটল ভ্যাপান্ডুয়ার বৈঁচিগ্রামে। কবে কারখানা খুলবে জানেন না কেউ। রুজিরোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘোর সমস্যায় প্রায় ৩৫টি শ্রমিক পরিবার।

বৈঁচিগ্রামে হার্বাল ফার্মাসিউটিক্যাল নামে একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধের কারখানা রয়েছে। তার মালিক সুভাষ মণ্ডলের দাবি, কারখানায় শ্রমিকদের জন্য ভ্যাকসিনের আবেদন জানিয়েছিলেন গত ১১ জুন। কিন্তু এ পর্যন্ত ভ্যাকসিন মেলেনি। তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে ব্লকে আবেদন পৌঁছেছে। তবুও ভ্যাকসিন মেলেনি। এদিকে বেসরকারি ভাবে ভ্যাকসিন করানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে অনিশ্চয়তার জন্য সেটাও কার্যকর হয়নি। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

এদিকে ওই আয়ুর্বেদ কারখানায় ৩৫ জন শ্রমিক কাজ করেন। তবে এঁরা প্রত্যেকেই অস্থায়ী কর্মী। তার মধ্যে পাঁচজনের বয়স ৪৫ বছরের বেশি হওয়ায় তাঁরা ভ্যাকসিন পেয়েছেন। বাকিরা এখনও পাননি। কারখানার মালিক সুভাষবাবু জানান, শ্রমিকদের বলা হয়েছিল অন্তত প্রথম ডোজ নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু তা নিতে পারেননি কেউ। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করাতে চাইনা বলেই কারখানা বন্ধের মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বক্তব্য তাঁর।

এদিকে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্তে মাথায় হাত পড়েছে শ্রমিকদের। সংশ্লিষ্ট কারখানার শ্রমিক উত্তম মণ্ডল, শেফালি মণ্ডলদের কথায়, ভ্যাকসিন না পেলে আমরা কী করব! তাঁরা এও জানান, কাজ বন্ধ হওয়ায় সমস্যা হবে। কীভাবে সংসার চলবে সেই চিন্তাই কুরেকুরে খাচ্ছে উত্তমদের। এদিকে কারখানা থেকে ওষুধ নিয়ে যে গাড়ি যায় তার ড্রাইভার, খালাসিদের বাইরে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। হোটেল বা থাকার জায়গা মেলে না। রাস্তায় রাত কাটাতে হয়। ভ্যাকসিন না পেলে তো পেটই চলবে না! বলেন শ্রমিকরা।

চুঁচুড়া সদর মহকুমা শাসক সৈকত গাঙ্গুলি এই প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন, “সুপার স্প্রেডার যাঁরা, তাঁদের ভ্যাকসিনেশন চলছে। দোকান-বাজার, কল-কারখানার শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এটা চলছে। এমন নয় যে ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।” তবে বৈঁচির ওই কারখানায় ঠিক কী হয়েছে তার খোঁজ নিয়ে দেখবেন মন্তব্য করেন মহকুমা শাসক।

পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভ্যাকসিন কম আছে ঠিকই, তবে পাণ্ডুয়াতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। সরকারকে বেইজ্জত করতে এটা করা হয়েছে।” আরও পড়ুন: রসিদে লেখা ১২০০, দিতে হচ্ছে ২৫০০ টাকা! আরটিপিসিআর টেস্টে ‘বেনিয়ম’ বেসরকারি ল্যাবে