Balurghat: মুখ্যমন্ত্রী ফিরতেই ফের বেহাল বালুরঘাটের রাস্তা, ধুলোয় ঢাকছে হাসপাতাল
Balurghat: গত ৩০ জানুয়ারি বালুরঘাটে প্রশাসনিক সভা করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন রাতে তিনি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পাশে সার্কিট হাউসে রাত্রিবাস করেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে বালুরঘাট শহর সহ বিভিন্ন এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।
বালুরঘাট: মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের ভেতরের বেহাল রাস্তা সারাইয়ের জন্য রাবিশ দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরের পরেই সেই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাবিশ দেওয়ার কারণে নতুন করে গর্ত তৈরি না হলেও ধুলোর কারণে অতিষ্ঠ হাসপাতালে আসা সাধারণ মানুষ থেকে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ রাস্তাটি পিচের করার দাবিও উঠেছে। হাসপাতালের তরফেও বিষয়টি পূর্ত দফতরকে জানানো হলে ধুলোর দাপট ঠেকাতে কয়েকদিন জল দেওয়া হয়। তারপর আবারও একই অবস্থা রাস্তার। আম-আদমির ক্ষোভের মধ্যেই চাপানউতোর তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক মহলেও।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি ১২ বছর পর বালুরঘাটে প্রশাসনিক সভা করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন রাতে তিনি বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পাশে সার্কিট হাউসে রাত্রিবাস করেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে বালুরঘাট শহর সহ বিভিন্ন এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই বালুরঘাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের রাস্তাটি বেহাল। মূল জাতীয় সড়ক থেকে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল পর্যন্ত রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০০ মিটার। হাসপাতালের ভিতরের এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। রাস্তার মধ্যে তৈরি হয়েছে বড় সড় গর্ত। মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে সেই বেহাল রাস্তা সারাইয়ের জন্য পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি রাবিশ ফেলা হয়েছিল। অভিযোগ, গর্ত বুঝতে গিয়ে রাস্তার রাবিশের ধুলোয় গোটা হাসপাতাল চত্বরে অন্ধকার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এমনকি পুরনো হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য বিভাগে ঢুকে পড়ছে সেই ধুলো। রাস্তাতে বড় কোনও গাড়ি চলাচল করলে নাকে রুমাল দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। এনিয়ে চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। দ্রুত রাস্তা সারাইয়ের দাবি তুলেছেন সকলে।
এ বিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, কিছুদিন আগেই রাস্তাটি সারাইয়ের জন্য পূর্ত দফতরকে জানানো হয়েছিল। সম্প্রতি এই রাস্তায় রাবিশ ফেলে পূর্ত দফতর। ধুলোর বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে। কয়েকদিন রাস্তায় জল দেওয়া হয়েছে৷ আবার ধুলো ঝড় উড়ছে।
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, যাতে ধুলো না ওড়ে তার জন্য ওই রাস্তায় পুরসভার তরফে জল দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত ওই রাস্তাটি টেন্ডার করে ঠিক করা হবে।