Balurghat Minor Physically Harassed: শহরে দাপুটে TMC নেতা হিসাবে পরিচিত, শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে এবার নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে
Balurghat Minor Harassed: পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে গত পরশু রাত্রিবেলা। অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা নাবালিকাকে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন। এরপরই তাঁকে নিজের মোবাইলের দোকানের শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশে বিষয়টি জানানো হলে তৃণমূল নেতার মোবাইলের দোকানে তল্লাশি চালানো হয়।
বালুরঘাট: কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল দাপুটে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। জানা যাচ্ছে, তিনি আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন জেলা সভাপতি। গোটা ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি তাঁকে। তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। এ দিকে, অভিযুক্ত প্রথমে সাংবাদিকদের ফোনো দিয়ে বলেন যে পকসো কেসে সব তো বলা যায় না। আইনি যা বিষয় আমরা দেখছি। পরে টিভি ৯ বাংলা তাঁকে ফোন করলে বিষয়টি পুরোটাই অস্বীকার করেন অভিযুক্ত। তিনি বলেন যে জানেনই না এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে গত পরশু রাত্রিবেলা। অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা নাবালিকাকে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন। এরপরই তাঁকে নিজের মোবাইলের দোকানের শৌচালয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশে বিষয়টি জানানো হলে তৃণমূল নেতার মোবাইলের দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। খতিয়ে দেখা হয় সিসিটিভির ফুটেজ। এমনকী নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। নাবালিকার বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টার জন্য পাহাড়ায় রয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়র। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁর গোপন জবানবন্দী নেওয়ার জন্য বালুরঘাট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তবে অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ভূরি-ভূরি অভিযোগ আগেই উঠেছিল। একসময় তিনি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও সহ সভাপতির পদে ছিলেন। মাস দুয়েক আগে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মহিলা কর্মীদের মধ্যে গোলমাল বাধে। ওই ঘটনায় উঠে আসে অভিযোগ প্রভাব খাটানোর বিষয়। তার বিরুদ্ধে ওই হাসপাতালে অরাজকতার সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে। এখানেই শেষ নয়, শহরের অবৈধ নির্মাণেও নাম জড়ায় তাঁর। এরপরেই তাকে শ্রমিক সংগঠনের সহ সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শহরে বাহুবলী নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি। তৃণমূল জেলা সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, “দলীয়ভাবে এখনও পর্যন্ত জানতে পারিনি। তবে থানার তরফে জেনেছি। যদি ঘটে থাকে তাহলে নিন্দনীয় ঘটনা। অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে।”