Sukanta Majumder: বালুরঘাটে আন্দোলনকারী নার্সিং পড়ুয়াদের পাশে সুকান্ত, প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি
Sukanta Majumder: দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আগামীতে আরও বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়ারা। তাঁদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল সুকান্ত মজুমদারকে।
বালুরঘাট: ৩৬ ঘন্টা পরেও মিল না কোনও সমাধান সূত্র। মঙ্গলবারের পর বুধবার সকাল থেকেও ফের পড়ুয়া বিক্ষোভে উত্তাল বালুরঘাট নার্সিং ট্রেনিং স্কুল। এদিকে পড়ুয়াদের সমস্যার কথা জানতে পেরে এদিন দুপুরেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ( BJP state president Sukanta Majumder)। কথা বলেন নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের আধিকারিকদের সঙ্গেও। আদপে ঠিক কী সমস্যা হয়েছে তাও জানতে চান। শেষে ফের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
তবে দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আগামীতে আরও বড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পড়ুয়ারা। যদিও এদিন নার্সিং ট্রেনিং স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফেও যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। আসল সমস্যার সূত্রপাত কোথায়?
সূত্রের খবর, বালুরঘাট নার্সিং স্কুলের তরফে বর্তমানে পঠনপাঠনের জন্য মোট সিট রয়েছে ৬৫টি। কিন্তু, ইতিমধ্যেই প্রথম কাউন্সলিংয়ে ৫৫ জন ভর্তি হয়েছে গিয়েছেন। এরপরেও জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের জিএনএম পোর্টাল থেকে ৫৩ জনের নতুন করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। যার ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন ছাত্রীরা। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পড়ুয়ারা এখানে ভর্তি হতে এসে আসল ঘটনার কথা জানতে পারেন। ভর্তির বিষয়ে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন আবেদনকারী বহু পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকরা। যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় ট্রেনিং স্কুলের সামনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বালুরঘাট থানার পুলিশ। মঙ্গলবারের পর বুধবার সকাল হতেই ফের ওই ট্রেনিং স্কুলের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন আবেদনকারীরা। দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন।
এ বিষয়ে নার্সিং পড়ুয়া আলপনা সরকার বলেন, “আমরা বাইরের কলেজে সুযোগ পেয়েও ভর্তি হয়নি। বাড়ির কাছে সুযোগ পেয়েই এখানে ভর্তি হতে এসেছি। কিন্তু ওরা বলছে মালদায় ভর্তি হতে। নার্সিং স্কুলের গাফিলতিতে আমরা কেন বাইরে ভর্তি হব? আমরা চাই এখানেই আমাদের ভর্তির ব্যবস্থা করা হোক। তা না হলে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
অন্যদিকে নার্সিং স্কুলের প্রিন্সিপালের সঙ্গে দেখা করার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “নার্সিং স্কুল কর্তৃপক্ষের একটা চরম গাফিলতির কথা সামনে এসেছে। তবে দুর্নীতি হয়েছে কিনা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা যতক্ষণ না একটা বিহিত করছেন, ততক্ষণ ভরসা পাওয়া যাচ্ছে না। এই ঘটনা থেকে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কঙ্কালসার চেহারা আবার সামনে এসেছে। দুর্নীতির খোঁজ পেলে আমরা প্রথমেই কোর্টে যাব। সমস্ত ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করাব। ” অন্যদিকে এবিষয়ে নার্সিং স্কুলের প্রিন্সিপাল রঞ্জুলিকা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীদের মালদায় ভর্তি নেওয়া হবে। পুরো বিষয়টি ফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাঁরাই বিষয়টি দেখছেন।”