Balurghat: পুজোয় ছেলেকে আর জামা দেওয়া হল না! তার আগেই আত্মঘাতী বাবা
Suicide: মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় অজয়ের দেহ উদ্ধার হয়।
বালুরঘাট: পুজোয় একমাত্র ছেলের জন্য জামা কিনেছিলেন বাবা। সেই খবর জানাতে চেয়েছিলেন সন্তানকে। একাধিকবার স্ত্রীকে ফোন করে অনুরোধও করেন তিনি। কিন্তু নাহ! কোনও লাভ হয়নি। ছেলের সঙ্গে একটিবারও কথা বলতে দেয়নি স্ত্রী। এরপর মানসিক অবসাদ থেকে আত্মঘাতী হলেন বাবা। মর্মান্তিক ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুরের।
মৃতের নাম অজয় বর্মণ (২৭)।বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার আলিগাড়া রামকৃষ্ণপল্লী এলাকায়। পেশায় দিনমজুর ছিল অজয়। মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় অজয়ের দেহ উদ্ধার হয়। বিষয়টি নজরে আসতে খবর দেওয়া হয় বংশীহারী থানার পুলিশকে। পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠায়।
জানা গেছে, অজয় বর্মনের সঙ্গে প্রায় বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয় বদলপুর এলাকার সুনিতা বর্মণের (পরিবর্তিত নাম)। তাঁদের একটি তিন বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে অকারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা লেগেই থাকত ৷ বিশ্বকর্মা পুজোর মধ্যেও দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়। তারপর থেকে বাপের বাড়িতেই রয়েছে স্ত্রী ও ছেলে। এদিকে,সামনে পুজো আসছে। তাই ছেলের জন্য নতুন জামা কাপড় কিনেছিলেন অজয়। সেই আনন্দের খবর দিতেই ফোন স্ত্রীকে ফোন করছেন গত তিন দিন ধরে। কিন্তু ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলতেই দিচ্ছিলেন না স্ত্রী। গতকাল রাতে ভাই সুজয়কে এসব বলে দুঃখ প্রকাশ করেল অজয় বর্মণ। এরপর আজ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বংশীহারী থানার পুলিশ।
মানসিক অবসাদের জেরে এমন ঘটনা আকছাড় আসে খবরের পাতায়। গত কয়েকদিন আগে সামনে আসে এমন খবর। তবে ঘটনাস্থান দিল্লি।সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে সেই ঘটনার সাক্ষ্মী থাকল রাজধানী। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেননি বছর বাহান্নর এক পৌঢ়া। পাঁচ তলা তেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন তিনি।দিল্লি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম নেহা ভর্মা । ধরম ভর্মা দিল্লির নিরাঙ্করি কলোনির মুখার্জী নগরের বাসিন্দা। বিগত কিছুদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। যার কারণে এক প্রকার দূরত্ব তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। সম্পর্ক থেকে বরিয়ে আসতে দু’জনই বেছে নেন বিবাহবিচ্ছেদের পথ। তবে মন থেকে হয়ত বিষয়টি মানতে পারেননি নেহা। এরপরই ঘটে যায় অনর্থ। পাঁচতলা বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। তবে এখানেই শেষ নয়, আত্মঘাতী হওয়ার আগে তাঁর স্বামী ধরম ভর্মাকে আই লাভ ইউ মেসেজ পাঠান।